ইউনিভার্সিটি অব স্টুটগার্ট স্কলারশিপ
অনগ্রসর দেশের নাগরিক এবং জার্মানিতে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুটগার্ট বিশ্ববিদ্যালয় দুটি মাস্টার্স প্রোগ্রাম- ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্ল্যানিং এবং ইন্টিগ্রেটেড আরবান প্ল্যানিং অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডিজাইন অফার করে। যে কোনো একটিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য দেওয়া হবে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ। তবে এজন্য অবশ্যই প্রাসঙ্গিক বৈজ্ঞানিক ও পেশাদার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি নতুন জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রয়োগ করার সক্ষমতা থাকতে হবে। এই স্কলারশিপে প্রতি মাসে পাওয়া যাবে ৭৫০ ইউরো। প্রোগ্রাম চলাকালীন দেওয়া হবে রাউন্ডট্রিপ পরিবহন খরচ, গবেষণা বৃত্তি, ভাড়া পরিশোধ বৃত্তি এবং স্বাস্থ্য বীমা।
https://www.
uni-stuttgart.de/en/study/
living-in-stuttgart/finances/
হেনরিক বোল
ফাউন্ডেশন
স্কলারশিপ
প্রতি বছর জার্মানির হেনরিক বোল ফাউন্ডেশন প্রায় এক হাজার স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করে। যে কোনো বিষয়ে অধ্যয়নরত বিভিন্ন দেশের ও সংস্কৃতির শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। এ ছাড়া, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, ফলিত বিজ্ঞানবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় বা যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপের জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হন।
https://www.boell.de/en/scholarships
ক্যাড জার্মানি রিসার্চ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম
অনুন্নত দেশ বা ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের স্নাতক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। আপনি যদি স্নাতকোত্তর বা ডক্টরাল প্রোগ্রাম বা গবেষণা ইনস্টিটিউটে অধ্যয়ন করতে চান, তাহলে এই স্কলারশিপ বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। ক্যাড স্কলারশিপ রিটার্ন ফ্লাইট, ভিসা ব্যবস্থা, একাডেমিক টিউশন, বিশ্ববিদ্যালয় ফি, ব্যক্তিগত ফি এবং অন্যান্য অনেক খরচ কভার করে।
https://www.kaad.de/en/
stipendien/stipendienprogramm-1
গ্রন্থনা :: রাজিয়া আক্তার
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমল ৭৫ পয়সা
রাজশাহীতে হিমাগারে আলু সংরক্ষণে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার আলুচাষি, ব্যবসায়ী ও হিমাগারমালিকদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিমাগারে প্রতি কেজি আলু রাখার জন্য ভাড়া দিতে হবে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে শ্রমিকের খরচ ৫০ পয়সা। সেই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমেছে ৭৫ পয়সা।
এর আগে গত মার্চে সরকার প্রতি কেজি আলু রাখার ভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর পর থেকে এ নিয়ে রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা বাড়তি ভাড়ায় আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে কয়েক দফা তাঁরা রাজপথে আন্দোলনও করেছেন। অন্যদিকে হিমাগারমালিকদের দাবি ছিল, প্রতি কেজি আলুর ভাড়া ৮ টাকা করা হোক।
রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজশাহী জেলা আলুচাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহীতে হিমাগার থেকে বাড়তি ভাড়া না দিলে আলু ছাড়া হবে না। এর প্রতিবাদে ঈদের পর নতুন করে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করে আসছেন। তাঁদের দাবি, আলু রাখার খরচ আগের বছরের মতো চার টাকা করতে হবে। এ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা। হিমাগার মালিকপক্ষ এ নিয়ে আলোচনায় বসার তাগিদ দিয়ে আসছিল।
এরই মধ্যে আলুচাষিনেতারা ১৪ জুন সেনাবাহিনীর কাছে এ নিয়ে একটি অভিযোগ দেন। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আজ দুপুরে সভা ডাকা হয়। সভায় সব পক্ষের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে এ বছর সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সার বদলে ৫ টাকা ৫০ পয়সা ও শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা রাখা হবে। আর পেইড বুকিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে আলু রাখা চাষি ও ব্যবসায়ীদের। পরে বিকেলে ক্যান্টনমেন্টে হওয়া এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিকভাবে পাস করার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দপ্তরে সভা হয়।
সভায় আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, হিমাগার মালিক সমিতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে নতুন ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি সব হিমাগারে প্রচার করা হবে।
এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এবার আলুর দাম কম। আবার এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘাতের আশঙ্কা ছিল। এ নিয়ে একটি অভিযোগ পান তাঁরা। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে সভা হয়। সভায় সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত বিকেলে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আরেকটি সভার মাধ্যমে পাস হয়েছে।
রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিঠু আহমেদ বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা বাড়তি ভাড়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। কয়েক দিন ধরে তাঁরা হিমাগার থেকে আলু নিতে পারছিলেন না। হিমাগারগুলোয় বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছিল। এ নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও অবহিত করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত একটি ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রহমান সিডস স্টোরেজের ব্যবস্থাপক আবদুল হালিম বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি কেজি আলু রাখতে খরচ পড়বে ৫ টাকা ৫০ পয়সা আর শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা। এ ছাড়া যাঁরা আগে থেকেই টাকা দিয়ে অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আলুর কেজিপ্রতি শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত সব হিমাগারমালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হবে।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে হিমাগারে ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ১৫ জুন ২০২৫