বন্দরে গার্মেন্টসে ডাকাতির ঘটনায় বিএনপি নেতা হিরণের ব্যক্তিগত গাড়ি চালক গ্রেপ্তারের পর এবার ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির গাড়ি চালকসহ ২ জনকে গনপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ  গ্রামবাসী। গত রোববার (১৬ মার্চ) রাতে বন্দর উপজেলার ইস্পাহানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  

ওই সময় ছিনতাই, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অটো ভর্তি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে । গনপিটুনি শিকার দুই ডাকাতের নাম মামুন (২৩)  ও সাব্বির (২২)। তারা দুইজনই ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকারের গাড়ি চালক ও সহযোগী। তারা কামতাল গ্রামের বাসিন্দা।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রোববার রাত  পৌনে ৮ টার দিকে ইস্পাহানি এলাকায় রাস্তার পাশে অস্ত্র বহনকারি এক অটো চালকের সঙ্গে ডাকাত মামুন ও সাব্বির সহ ১০/১২ জনের বাকবিতন্ডা চলছিল। এসময় বাজারের লোকজন ও  পথচারিরা এগিয়ে এসে দেখেন অটোতে  বস্তার মধ্যে রক্ষিত ডাকাতি কাজে বয়বহৃত ধারালো রাম দা, চাইনিজ কুড়াল,  চাপাতি, ছুরি সুইচ গিয়ার ।

পরবর্তীতে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অন্যান্যরা কৌশলে ছিটকে পড়লেও মামুন ও সাব্বিরকে  গনপিটুনি  দিয়ে স্থানীয় যুবদল নেতা ওয়াদুদ সাগরের কাছে সোপর্দ করেন। 
এর আগে দেওয়ানবাগ এলাকায় গার্মেন্টসে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকায় গত শনিবার উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের গাড়ি চালক মাহবুব আলম শিশিরকে ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আটো চালক সবুজ  জানায়, কামতাল গ্রাম থেকে একটি বস্তা ইস্পাহানি বাজার নিয়ে যাবে বলে জাহিদ খন্দকার ভাড়া করে আনেন। মদনপুর পৌঁছালে জাহিদ খন্দকার নেমে পড়েন। ইস্পাহানি পৌঁছানোপর মামুন ও সাব্বির অটো থামিয়ে রাখতে বলেন। 

এসময়  তাদের কথাবার্তা ও চলাফেরায়  সন্দেহ সৃস্টি হয়। ওই সময় অপর এক অটো চালককে বিষয়টি অবগত করলে মামুন ও সাব্বির ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে জনগন ভুল বুঝে প্রথমে আমাকে মারধর শুরু করে। পরে বিস্তারিত জানার পর মামুন ও সাব্বিরকে গনপিটুনি দেয় এবং বস্তা ভর্তি অস্ত্র নিয়ে যায়।

কামতাল গ্রামবাসী জানান, আন্তঃজেলার একজন  চিহ্নিত  সিএনজি চোর জাহিদ খন্দকার। চোরাই সিএনজি সহ কুমিল্লা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে পালিয়ে থাকতো জাহিদ।  

৫ আগস্টের পর জাহিদ খন্দকার  বনে গেছে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। এ পরিচয়ে কাগজপত্র বিহীন একটি পুরাতন প্রাইভেটকারে চলাচল করে জাহিদ। পাশাপাশি এ গাড়ি দিয়ে  চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক পাচার ও ছিনতাই, ডাকাতি সহ নানা অপকর্ম।

গত রোববার রাতে ইস্পাহানি বাজার এলাকায়  ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জাহিদ খন্দকারের ব্যক্তিগত গাড়ি চালক মামুন ও সহযোগী  সাব্বিরকে গনপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

এ ব্যাপারে জাহিদ খন্দকার জানান,  মামুন ও সাব্বির ভুল করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের ভুল করবে না বলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল নেতা ওয়াদুদ সাগর ভাই তাদের মাফ করে দিয়েছেন।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা

সিদ্ধিরগঞ্জে জোর পূর্বক সম্পত্তি লিখে নিতে সন্ত্রাসী দিয়ে নিজাম উদ্দিন নামে এক প্রবাসীর ৬ তলা বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় বন্দর থানার গকুলদাসেরবাগ এলাকার আ: বাতেনের মেয়ে ও প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের ভাগ্নী মাহমুদা (৪০) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্ধা তার মামী উম্মে হাবিবা বিন্দু (২৬), মামীর বাবা বাবুল (৫০) ও মামীর মা সখি (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগে মাহমুদা উল্লেখ করেন, গত ৯বছর পূর্বে আমার মামার সাথে উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিবাহ হয়। আমার মামার পরিবারে ২টি পুত্র সন্তান আছে। আমার মামা একজন প্রবাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী হওয়ার সুবাদে বিবাদীরা আমার মামার টাকা বিভিন্ন ভাবে অপচয় করিত। গত ৫বছর পূর্বে বিবাদী বাবুল আমার মামার কাছ থেকে জমি ক্রয় ও ব্যবসায়ীক কারণে হাওলাত বাবদ ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

গত ৩ বছর পূর্বে আমার মামা দেশে এসে তার স্ত্রী বিন্দুর কাছে উক্ত টাকা দাবি করলে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে আমার মামাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করিতে থাকে। এসময় আমার মামা উক্ত বিষয়টি তার শ্বশুর বাবুলকে জানাইলে তারা উক্ত টাকা দিব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকে।

এরই উপর ভিত্তি করে গত ২ মাস পূর্বে পুনরায় আমার মামা তার শ্বশুরের কাছে টাকা দাবি করলে তিনি উক্ত টাকা দিবে না মর্মে জানায়। এমনকি আমার মামাকে জানায় আমার মামা যদি সিদ্ধিরগঞ্জের তাঁতখানা এলাকার গোদনাইল মৌজাস্থিত ৬তলা বিশিষ্ট বাড়িটি তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তাকে বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করবে।


অভিযোগে মাহমুদা আরো উল্লেখ করেন, গত বুধবার আমার মামার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী সহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার আমার মামার বাড়ীতে প্রবেশ করে আমার মামার অজ্ঞাতসারে ভাংচুর চালায়।

এসময় উক্ত বাড়ীতে আমার খালা সালেহা (৫০) অবস্থানকালে তারা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে তারা উক্ত বাড়ী তালা বদ্ধ করে চলে যায়। এসময় তারা আমার খালাকে জানায় আমার মামা যদি উক্ত বাড়ী তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তারা আমার মামাকে জানে মারিয়া ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসান আলী জানান, দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তবে বাড়িতে তালা দেয়ার বিষয়ে নিজামের স্ত্রী বিন্দু ও তার শ্বশুর বাবুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তারা অস্বীকার করেছে। যেহেতু বিষয়টি পারিবারিক তাই উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নরসিংদীতে বিএনপি-ছাত্রদল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩
  • সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা