শক্তিশালী জোটের সন্ধান করছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী
Published: 17th, March 2025 GMT
দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অর্থনীতির উপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণ মোকাবেলায় আরো শক্তিশালী জোটের সন্ধান করছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যে তার প্রথম বিদেশ সফরের মাধ্যমে কার্নি তার জোট সন্ধান শুরু করেছেন।
ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করেই কার্নি এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোমবার প্যারিসে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তারা অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান প্রদর্শন করেছেন।
ম্যাক্রোঁ বলেছেন, “কানাডা অনন্য বন্ধু। শুল্কের চেয়ে ন্যায্য বাণিজ্য বেশি কার্যকর।”
আর কার্নি খোলামেলাই বলেছেন কানাডার জন্য ‘নির্ভরযোগ্য মিত্রদের’ সাথে সম্পর্ক জোরদার করা গুরুত্বপূর্ণ।
২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে ৫১তম মার্কিন রাজ্য করার ট্রাম্পের বক্তব্য কানাডিয়ানদের ক্ষুব্ধ করেছে। দেশটির অনেকেই আমেরিকান পণ্য কেনা এড়িয়ে চলছে। ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের আলোকে কার্নির সরকার মার্কিন তৈরি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।
কার্নির সফর প্রসঙ্গে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক নেলসন ওয়াইজম্যান বলেন, “ট্রাম্প ফ্যাক্টরই এই ভ্রমণের কারণ। কার্নির অন্যান্য সমস্ত কিছুর চেয়ে ট্রাম্প ফ্যাক্টর বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।