গাজীপুরে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার কালীগঞ্জ প্রতিনিধি আবদুল গাফফারের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ৯ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল সোমবার রাতে সাংবাদিক আবদুল গাফফার ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন (৪৭), কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ফজলুল হক আকন্দ (৬০) এবং বিএনপির কর্মী শাহেদ আলী আকন্দ (৩৫), হৃদয় আকন্দ (২৫), ফালু আকন্দ (২৬), মারুফ (২৫), সিরাজ উদ্দিন (৫৬), মো.

রুবেল (৩০) ও মো. ফয়সাল (৩৩)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গাজীপুর শহর থেকে গত রোববার রাতে এক সহকর্মীর সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে কালীগঞ্জের জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের কাউলিতা এলাকার বাড়ি ফিরছিলেন আবদুল গাফফার। পথে উপজেলার আওড়াখালী বাজার এলাকায় আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে গাফফারকে বেধড়ক মারধর করে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা সহকর্মী খোরশেদ আলমকেও মারধর করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিগ্যান মোল্লা বলেন, অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র আকন দ

এছাড়াও পড়ুন:

তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন

নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব—সব প্ল্যাটফর্মেই তিনি সরব। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই অভিনেতা চাকরির ফাঁকে শুটিং করেন। একসঙ্গে দুই জায়গায় মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। এ কারণে দু–তিন মাস পরপরই সিদ্ধান্ত নেন, চাকরি ছাড়বেন। তাঁর এই চাকরি ছাড়ার কথা শুনলেই এখন সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন। এই অভিনেতার নাম মোস্তফা মন্ওয়ার। আজ তাঁর জন্মদিন।

এই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চাকরি ছাড়ার কথা তিন-চার মাস পরপর বলবেন—এটা সহকর্মীরা ধরেই নিয়েছেন। কারণ, শুটিংয়ে সময় দিতে হয়। অফিসেও দায়িত্ব পালন করতে হয়।

মোস্তফা মন্ওয়ার বলেন, ‘দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অভিনয় ও চাকরি একসঙ্গে করছি। অনেকবার চেয়েছি চাকরি ছেড়ে শুধু শুটিং শুরু করি। কিন্তু কোনোভাবেই এটা হচ্ছে না। অর্থনৈতিক কারণে অভিনয়কেই শুধু পেশা হিসেবে নিতে পারছি না। চাকরিও ছাড়তে পারছি না। এর আগে চার-পাঁচবার চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু আবার চাকরিতেই ফিরতে হয়েছে। ছুটির দিনে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। শুটিংয়ে যাই।’

মোস্তফা মন্ওয়ার। ছবি: ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মোটরসাইকেল আমার ছেলেটার জীবন নিল’
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন