ফুটবলে ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা দ্বৈরথ এমনিতেই ঐতিহাসিক। প্রতি ম্যাচেই কোনো না কোনো রেকর্ডের পাতা ওলট–পালট হয়। এবারের দ্বৈরথটি অবশ্য মাঠে গড়ানোর আগেই ঐতিহাসিক হয়ে গেছে। সেটা দুই দলের কোচের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণার পরই। আর্জেন্টিনা দলে যেমন নেই লিওনেল মেসি, তেমনি ব্রাজিল দলে নেইমারও অনুপস্থিত। দুই দলের সেরা দুই তারকা চোটের কারণে এ ম্যাচে খেলতে পারবেন না। তাতেই এই দ্বৈরথ নিয়ে ইতিহাসের পাতা ওল্টাতে হচ্ছে।

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ম্যাচ কবে, কখন, কোথায়৩ ঘণ্টা আগে

কারণ, ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা ম্যাচে মেসি ও নেইমারের অনুপস্থিতি হামেশাই দেখা যায় না। যদি এ প্রশ্ন করা হয়, মেসি ও নেইমার—দুজনের একজনও নেই, এভাবে সর্বশেষ কবে ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা ম্যাচ দেখা গেছে? তাহলে ফিরতে হবে প্রায় ২০ বছর আগে। ২০০৫ সালের ২৯ জুন, অধুনালুপ্ত ফিফা কনফেডারেশনস কাপ ফাইনাল। ফ্রাঙ্কফুর্টের সেই ফাইনালে তেভেজ–রিকেলমেদের আর্জেন্টিনাকে ৪–১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল।

এরপর প্রায় দুই দশক ধরে ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা ম্যাচে হয় মেসি, না হয় নেইমার কেউ না কেউ খেলেছেন কিংবা তাঁদের দুজনকেই মুখোমুখি হতে দেখা গেছে।

ইন্টার মায়ামির হয়ে ম্যাচে চোট পান মেসি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র জ ল আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।

সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ