দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা সংস্থায় চাকরি, বেতন ডলারে, আবেদন শেষ বৃহস্পতিবার
Published: 18th, March 2025 GMT
দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা সংস্থা কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সিতে (কোইকা) জনবল নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার। সংস্থাটি প্রোগ্রাম অফিসার পদে একজন বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে ই-মেইলে পাঠাতে হবে।
পদের নাম: প্রোগ্রাম অফিসার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: পাবলিক হেলথ, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পাবলিক রিলেশন বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। পাবলিক হেলথ বা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ওডিএ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রজেক্ট বা এ ধরনের ক্ষেত্রে অন্তত সাত থেকে আট বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পাবলিক হেলথ বা কমিউনিকেশনে প্রশিক্ষণ থাকলে এবং কোনো বেসরকারি সংস্থায় প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও প্রশাসনিক কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। ইংরেজি ভাষায় রিপোর্ট রাইটিংয়ে দক্ষ হতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। মাইক্রোসফট অফিস ও ইন্টারনেটের কাজ জানতে হবে।
চাকরির ধরন: এক বছরের চুক্তিভিত্তিক (নবায়ণযোগ্য)
কর্মস্থল: বাংলাদেশ অফিস
বেতন-ভাতা: ১,০০০ থেকে ১,২০০ মার্কিন ডলার (১,২১,৪২০ থেকে ১,৪৫,৭০৫ টাকা প্রায়)। এ ছাড়া বছরে মোট বেতনের সমপরিমাণ দুটি উৎসব বোনাস দেওয়া হবে।
আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে নির্ধারিত আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করা ফরম পূরণ করে [email protected] ঠিকানায় ই-মেইল করতে হবে। ই-মেইলের সাবজেক্টে পদের নাম উল্লেখ করতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ মার্চ ২০২৫।
আরও পড়ুনডাক জীবন বীমা ঢাকা অঞ্চলে চাকরি, ৯ ক্যাটাগরিতে পদ ৩০১০ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প বল ক
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।
প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।
মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।
নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।