দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা সংস্থা কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সিতে (কোইকা) জনবল নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার। সংস্থাটি প্রোগ্রাম অফিসার পদে একজন বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে ই-মেইলে পাঠাতে হবে।

পদের নাম: প্রোগ্রাম অফিসার

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা: পাবলিক হেলথ, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পাবলিক রিলেশন বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। পাবলিক হেলথ বা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ওডিএ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রজেক্ট বা এ ধরনের ক্ষেত্রে অন্তত সাত থেকে আট বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পাবলিক হেলথ বা কমিউনিকেশনে প্রশিক্ষণ থাকলে এবং কোনো বেসরকারি সংস্থায় প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও প্রশাসনিক কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। ইংরেজি ভাষায় রিপোর্ট রাইটিংয়ে দক্ষ হতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। মাইক্রোসফট অফিস ও ইন্টারনেটের কাজ জানতে হবে।

চাকরির ধরন: এক বছরের চুক্তিভিত্তিক (নবায়ণযোগ্য)

কর্মস্থল: বাংলাদেশ অফিস

বেতন-ভাতা: ১,০০০ থেকে ১,২০০ মার্কিন ডলার (১,২১,৪২০ থেকে ১,৪৫,৭০৫ টাকা প্রায়)। এ ছাড়া বছরে মোট বেতনের সমপরিমাণ দুটি উৎসব বোনাস দেওয়া হবে।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে নির্ধারিত আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করা ফরম পূরণ করে [email protected] ঠিকানায় ই-মেইল করতে হবে। ই-মেইলের সাবজেক্টে পদের নাম উল্লেখ করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২০ মার্চ ২০২৫।

আরও পড়ুনডাক জীবন বীমা ঢাকা অঞ্চলে চাকরি, ৯ ক্যাটাগরিতে পদ ৩০১০ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প বল ক

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ