মঠবাড়িয়ায় নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
Published: 20th, March 2025 GMT
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর অর্ধগলিত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালী গ্রাম থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড চৌকিদার কবির হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মঙ্গলবার রাতে থানায় হত্যা মামলা করেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালী গ্রামের মিরাজ মিয়ার বসতবাড়ির পাশে বাগান থেকে ২৫ থেকে ৩০ বয়সী এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ২৫ থেকে ৩০ দিন আগে ওই নারীকে ঘটনাস্থলে এনে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে। ইতোমধ্যে সিআইডির একটি দল লাশের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করেছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সমকালকে বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় নারীর লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য পার্শ্ববর্তী থানায় যোগাযোগ করা হয়েছে এবং দেশের সব থানায় বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মঠব ড় য়
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।