ঘুষ গ্রহণের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান
Published: 20th, March 2025 GMT
বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির (সাব্বির) হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ঘুষ লেনদেনের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. আবু তাহের আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন লুৎফুজ্জামান বাবরের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।
মামলা থেকে খালাস পাওয়া অপর সাতজন হলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তাঁর দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান ও সাদাত সোবহান, তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সহকারী সচিব (এপিএস) মিয়া নুরুদ্দিন অপু, আবু সুফিয়ান ও কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল। রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন আবু সুফিয়ান ও কাজী সেলিমুল হক।
আইনজীবী আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করার জন্য তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা করেছিল (দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলা ও আদালতের নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির হত্যার ঘটনায় ২০০৬ সালের ৪ জুলাই মামলা হয়। এই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর মামলা করে দুদক। মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ২৩ এপ্রিল দুদক অভিযোগপত্র দেয়। একই বছরের ১৪ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল