Risingbd:
2025-05-01@00:44:11 GMT

শেকৃবিতে ছাত্রদলের গণসেহরি

Published: 20th, March 2025 GMT

শেকৃবিতে ছাত্রদলের গণসেহরি

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) প্রায় ২ হাজার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীর নিয়ে গণসেহরির আয়োজন করেছে শাখা ছাত্রদল।

বৃহস্পতিবার(২০ মার্চ) রাত আড়াইটায় শেকৃবির টিএসসি কমপ্লেক্সে এ গণসেহরির আয়োজন করে সংগঠনটি। এছাড়া নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রদল কর্মীদের মাধ্যমে পার্সেলের ব্যবস্থা করে তারা।

শেকৃবি শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম জানান, এ ধরনের আয়োজন ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতার রূপ নিক। ভবিষ্যতে শিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতো সংগঠনগুলোরও এমন আয়োজন করা উচিত।

শেকৃবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরামর্শে তারা প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ সেহরির আয়োজন করেন। শিক্ষার্থীদের অনুরোধে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রায় ১,৮০০ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নিরাপত্তা রক্ষীর জন্য সেহরির ব্যবস্থা করা হয়, যেখানে ২,০০০-এর বেশি মানুষ অংশ নেয়। ছাত্রীদের খাবার তাদের হলে পৌঁছে দেওয়া হয়।

শাখা সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস জানান, গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা প্রার্থনায় তারা গণ সেহরির আয়োজন করেছেন। এ আয়োজনের আরেকটি উদ্দেশ্য ছাত্রদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্য গড়ে তোলা।

তিনি জানান, ছাত্রীদের জন্য আলাদা পার্সেলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। তারেক রহমানের পরিকল্পনার আলোকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এটি ছাত্র সংগঠনের জন্য একটি নতুন দৃষ্টান্ত হতে পারে।

ঢাকা/মামুন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবির ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ছাত্রসংগঠনগুলোর নিন্দা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘ক্ষণিকা’ বাসে মঙ্গলবার দুপুরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরা আজমপুর এলাকায় টঙ্গী-গাজীপুর রুটে চলাচলকারী ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। হামলায় বাসচালকসহ পাঁচ–ছয়জন আহত হন। আহত ব্যক্তিরা বর্তমানে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার পর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ভিসি চত্বর ঘুরে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে তাঁরা সমাবেশ করেন।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মাহমুদ হামলাকারীদের দুর্বৃত্ত উল্লেখ করে বলেন, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সারা দেশে বায়বীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজকের ঘটনায় শিক্ষার্থী সেজে কারা হামলা করেছে, তাদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আঘাত করার চেষ্টা করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ক্ষণিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। অভ্যুত্থানের ৮ মাস পার হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো বাংলাদেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আমরা দ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সারা বাংলাদেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, সড়কে একদল স্কুলশিক্ষার্থীর মধ্যে ঝামেলা হলে তারা হঠাৎ গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটিও ভাঙচুর করা হয়। এতে সাতজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। হামলার সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে তারা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘একটি কুচক্রী মহল জুলাই গণ–অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব ঐক্যে ফাটল সৃষ্টির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী রেজিমেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনৈক্যের বীজ বপণের এমন চেষ্টা আমরা দেখেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, নতুন বাংলাদেশে এমন যেকোনো কূটচাল ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।’

হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা শুধু শিক্ষার পরিবেশকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরও ইঙ্গিত করে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বহীনতা ও নিষ্ক্রিয়তা অত্যন্ত হতাশাজনক। এসব ঘটনা প্রতিরোধে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানায় দলটি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাবির ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ছাত্রসংগঠনগুলোর নিন্দা