জামালপুরে বিলের মাছ ধরা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা
Published: 20th, March 2025 GMT
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সরকারি একটি বিলে মাছ ধরা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় সরকারি একটি বিলের মাছ ধরা নিয়ে জেলা বিএনপির জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক ও মহাদান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল এবং মহাদান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের (লিটন) মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আউয়ালের লোকজন ওই বিলে মাছ ধরতে যান। তাঁদের সঙ্গে ছিল দেশী অস্ত্র। এ সময় ইসমাইলের লোকজন দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁদের ধাওয়া দেন। এর পর থেকে থেমে থেমে দুই পক্ষের মধ্যে মহড়া চলছে। এর মধ্যে সাবেক ইউপি সদস্য মো.
এ ব্যাপারে কথা বলতে আবদুল আউয়াল ও ইসমাইল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁরা ধরেননি।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. চাঁন মিয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বিলের মাছ ধরা এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আউয়াল ও ইসমাইলের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি আশা করছেন, কোনো সংঘাত হবে না।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।