সাদা ফুলের কালো বীজে ভাগ্যবদল কুষ্টিয়ার তালেবের
Published: 21st, March 2025 GMT
গ্রামীণ সড়কের পাশে জিকে প্রকল্পের নালা। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে, বাতাসে দোল খাচ্ছে সাদা সাদা ফুল। কাছে গিয়ে বোঝা গেল, এগুলো পেঁয়াজের ফুল। এই সাদা ফুলগুলো শুকিয়ে কিছুদিন পর বের হবে কালো বীজ। বাজারে এগুলোর ব্যাপক চাহিদা, পাওয়া যায় ভালো দাম। এই বাগানের মালিক কৃষক আবু তালেব। তিনি সেখানে তিনটি প্লটে প্রায় ১৯ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছেন। নানা বয়সী নারী-পুরুষ শ্রমিক পরিচর্যা ও হাতের সাহায্যে পরাগায়ন করছেন।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। আবু তালেব ওই গ্রামের ছেলে। তিনি চাকরি ছেড়ে পেঁয়াজের বীজ চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। চলতি মৌসুমে প্রায় ১৯ বিঘা জমিতে সুপার কিং, লালতীর কিং ও হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছেন তিনি।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে ৩৮ থেকে ৪০ মণ বীজ উৎপাদন হবে তালেবের। এর বাজারমূল্য ৪০ থেকে ৪২ লাখ টাকা। খরচ বাদে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা মুনাফা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন এই কৃষক। ফলন বৃদ্ধি ও বীজের গুণগত মান রক্ষায় জমিতে সেচ প্রদান, মৌ বাক্স স্থাপন ও হাতের মাধ্যমে পেঁয়াজ ফুলের পরাগায়ন নিশ্চিত করেন তিনি।
তালেবের ভাষ্য, রোপণ করা পেঁয়াজ, পরিচর্যা, জমির ইজারাসহ প্রতি বিঘায় খরচ লেগেছে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। সব মিলে ১৯ বিঘা জমিতে বীজ চাষে তাঁর খরচ হয়েছে ১৮-২০ লাখ টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ১৫-২০ দিন পর বীজ ঘরে তুলবেন তিনি। প্রতি বিঘায় গড়ে দুই মণ করে ১৯ বিঘায় ৩৮-৪০ মণ ফলনের প্রত্যাশা তাঁর। প্রতি কেজি বীজ বিক্রি হয় আড়াই হাজার টাকায়।
কথায় কথায় আবু তালেব বলেন, ১৯৯৫ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। পরে চাকরি ছেড়ে ওই বছরই ১৬ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষ শুরু করেন। সেখান থেকে অল্প অল্প করে চাষ শেখা ও স্বপ্ন বোনা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এক বিঘা, দুই বিঘা করে বাড়তে থাকে তাঁর বীজ চাষ। ২০০৩ সালে প্রায় ৭ বিঘা জমিতে বীজ চাষ করে বেশ লাভের মুখ দেখেন। এরপর গত বছর ১১ বিঘা জমিতে প্রায় ১৮ মণ বীজ উৎপাদন করে প্রায় ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছিলেন।
ফলন বৃদ্ধি ও বীজের গুণগত মান রক্ষায় জমিতে সেচ প্রদান, মৌ বাক্স স্থাপন ও হাতের মাধ্যমে পেঁয়াজ ফুলের পরাগায়ন নিশ্চিত করা হয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব জ চ ষ কর ১৯ ব ঘ
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে