ঝিনাইদহের মহেশপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জাফর হোসেন নামের এক বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সামন্তা গ্রামের জীবন নগর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

জাফর হোসেন ওই গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে, এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

কাজীড়বেড় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কামাল হোসেন বলেন, ‘‘গত রাত ৯টার দিকে স্থানীয় জামায়াত নেতা সাইদুর রহমান বিএনপি কর্মী জাফরকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। পরে জামায়াত নেতা আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ দল তাকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।’’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে জামায়াত নেতা সাইদুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

‘বিএনপির কথা শুনবে, না হয় ইউএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে চলে যেতে হবে’

‘ঐক্যবদ্ধ হলে প্রশাসন বাধ্য হবে বিএনপির কথা শুনতে। হয় বিএনপির কথা শুনবে, না হয় এখান থেকে ইএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। তাদের আর সুযোগ দেওয়া যাবে না, অনেক সুযোগ দিয়েছি। এখন আর সুযোগ দেওয়ার সময় নেই। এখন আমাদের দাবি আমাদের আদায় করে নিতে হবে।’

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিচ মিয়ার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। 

ভিডিওটিতে দেখা যায়, ইদ্রিচ মিয়ার পেছনে ঈদ পুনর্মিলনীর ব্যানার টাঙানো। সাতকানিয়া সাংগঠনিক ইউনিট বিএনপি লেখা রয়েছে ব্যানারে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সব সাংগঠনিক ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইদ্রিচ মিয়া। 

জানতে চাইলে ইদ্রিচ মিয়া বলেন, ইউএনও-ওসিকে নিয়ে এ ধরনের কোনো বক্তব্য তিনি কোথাও দেননি। তাঁকে হেয় করার উদ্দেশ্যে ভিডিওটি বানানো হয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় মো. ইদ্রিস মিয়াকে। পরে গত ৬ মে ৫৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ইদ্রিস মিয়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ