সরকারি রাস্তায় দেয়াল নির্মাণে বাধা দেওয়ায় নারীকে মারধর
Published: 21st, March 2025 GMT
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি রাস্তা দখল করে ইটের দেয়াল নির্মাণের প্রতিবাদ করায় কমলা খাতুন নামের এক নারীকে মারধর করা হয়েছে। সৈয়দ জামাল ও তার ছেলে মাইদুল হকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিকার চেয়ে ওইদিন বিকেলে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
অভিযুক্তরা হলেন রৌমারী সদর ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার তাজুর উদ্দিনের ছেলে সৈয়দ জামাল (৬৫) ও তার ছেলে মাইদুল হক (৩৫)।
অভিযোগে কমলা খাতুন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে তার বাড়ি থেকে হাবিবুর মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত সরকারি রাস্তায় চলাচল করে আসছেন ওই এলাকার মানুষ। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে ওই রাস্তায় ইট দিয়ে দেয়াল নিমাণ কাজ শুরু করেন স্থানীয় সৈয়দ জামাল ও তার ছেলে মাইদুল হক। এতে স্থানীয়দের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এ সময় নির্মাণ কাজে বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করেন তারা। তখন ওই নারীর বাম হাত ফেটে যায়। ছিড়ে ফেলা হয় পড়নে থাকা কাপড়। পরে তাকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম রানা বলেন, এর আগেও ওই রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণের চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরও বৃহস্পতিবার ইটের দেয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেন তারা।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক