সাতক্ষীরার আলিপুর ও গাবুরায় বেসরকারি খাতের উদ্যোগ ‘প্রবাহ’-এর আওতায় দু’টি নতুন পানি শোধনাগার কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের ২৫টি জেলায় এ ধরনের শোধনাগার কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়াল ১২৬টি।

নিরাপদ পানির শোধনাগার কেন্দ্র স্থাপন করার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সুপেয় পানির প্রয়োজন মেটাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ‘প্রবাহ’। আর্সেনিক দূষণ ও নোনাপানি-কবলিত অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পানি সরবরাহ করে আসছে তারা। আজ প্রবাহের ১৬তম বর্ষপূর্তি। একই সঙ্গে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পানি দিবস। সুপেয় পানি সংরক্ষণ এবং নিরাপদ পানির গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের বেশ কিছু অঞ্চলে নলকূপে আর্সেনিক দূষণ ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। খাবার পানিতে আর্সেনিক ও নোনা পানির কারণে কয়েক লাখ মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার কারণে স্বাদু পানির উৎসগুলোয় নোনাপানির অনুপ্রবেশ বাড়ছে।

‘প্রবাহ’এর মুখপাত্র আহমেদ রায়হান আহসানউল্লাহ বলেন, ১৬তম বর্ষপূর্তিতে প্রবাহ দেশজুড়ে এর কার্যক্রম বিস্তৃত করার মাধ্যমে পানির সংকট মোকাবিলা করতে চায় প্রবাহ। নিরাপদ সুপেয় পানির দীর্ঘমেয়াদি সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার মতো একটি টেকসই মডেল সমাধান নিয়ে আসার জন্য প্রবাহ কাজ করছে।

এই উদ্যোগ টেকসই ও বিস্তৃত করতে সব সুবিধাভোগী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অব্যাহত সহায়তা চেয়েছে প্রবাহ। খবর বিজ্ঞপ্তির।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রব হ ন র পদ

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ