আর্থিক সাক্ষরতা সপ্তাহ পালন করলো এনসিসি ব্যাংক
Published: 22nd, March 2025 GMT
সারা দেশের সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া সাধারণ জনগোষ্ঠীকে আর্থিক খাতে অর্ন্তভূক্তির লক্ষ্যে প্রতিপাদ্য নিয়ে আর্থিক সাক্ষরতা সপ্তাহ ২০২৫ পালন করলো এনসিসি ব্যাংক। এ উপলক্ষ্যে বুধবার এনসিসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুসন সেল এর উদ্যোগে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
শনিবার (২২ মার্চ) ব্যাংকটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম.
এ সময়, ডিজিটাল প্লাটফর্মে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়ের আলোকে ব্যাংকের কৌশল নিয়ে আলোচনায় প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণসহ সকল শাখা ব্যবস্থাপকগণ অংশগ্রহণ করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন বলেন, এনসিসি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচীর আওতায় প্রান্তিক কৃষক, নিন্ম আয়ের জনগোষ্ঠী, ছাত্র, নারী উদ্যেক্তা, যুবসমাজ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ সুবিধাবঞ্চিত পিছিয়ে পড়া সাধারণ জনগোষ্ঠীর আর্থিক উন্নয়নে ব্যাংকিং সেবাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তাদের দোর গোড়ায় পৌছে দেওয়ার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি শাখা প্রধানদের এই বিষয়ে কিছু কৌশলগত দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এই লক্ষ্যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সেবা প্রদান গ্রাহক বান্ধব করার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন।
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আর থ ক এসভ প এনস স
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।
চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।
ঢাকা/এমআর/রফিক