ইমরান খান ক্ষমা চাইলে মুক্তি পেতে পারেন
Published: 22nd, March 2025 GMT
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারামুক্তি সম্ভব। তবে এর জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। ২০২৩ সালের ৯ মে দাঙ্গার ঘটনায় তিনি যদি মন থেকে ক্ষমা চান, তবে তিনি মুক্তি পেতে পারেন। পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ এ কথা বলেছেন।
দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ওই বছরের ৯ মার্চ পাকিস্তানজুড়ে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু সেনা স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই দাঙ্গার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) দায়ী করা হয়।
পাকিস্তানের জিও নিউজের জিগরা নামের অনুষ্ঠানে রানা সানাউল্লাহ বলেন, ইমরান খান দেশকে রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন।
তিনি মনে করেন, তাঁর কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বিপ্লব করতে পারবেন। কিন্তু বিপ্লবের কোনো সুযোগ নেই। শুধু রাজনৈতিক সংগ্রাম বিজয় আনতে পারে। তিনি আরও বলেন, গত নভেম্বরের ২৪ থেকে ২৬ তারিখে পিটিআই ইসলামাবাদে যে সমাবেশ কর্মসূচি করেছিল, এ রকম পদ্ধতিতে সফলতা পাওয়া যাবে না।
রানা সানাউল্লাহ আরও বলেন, ৯ মের ঘটনায় যদি ইমরান ক্ষমা চান, তবে আলোচনা এগোতে পারে। এর আগে তিনি বলেছিলেন, আদালত যদি ইমরানকে মুক্তি দেন, তবে শাহবাজ শরিফের সরকারের পক্ষ থেকে ইমরানকে ছেড়ে দিতে কোনো আপত্তি নেই। ইমরান খান বিভিন্ন মামলায় এক বছরের বেশি সময় ধরে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী।
আরও পড়ুনআদালতের কাছে ক্ষমা চাইলেন ইমরান খান২২ সেপ্টেম্বর ২০২২.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।