বন্দরে চা দোকানে ওষুধ বিক্রিকালে জনতার হাতে যুবক আটক
Published: 22nd, March 2025 GMT
বন্দরে চা দোকানীর কাছে ওষুধ বিক্রির সময় আবুল বাশার (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে হাতে নাতে আটক করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মিয়া শহীদ নামে জনৈক কর্মচারীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের রাজবাড়ী লোহার পুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আটককৃত বাশার সুদূর শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানা এলাকার গিয়াসউদ্দিন মিয়ার ছেলে। সে বন্দরের চুণাভূড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ের জামাতা।
বাশার জানায়,সে বন্দর বাজার এলাকার মশিউর রহমানের মার্কেটের ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান কেয়া সার্জিক্যাল এবং অভিজিৎ ফার্মা থেকে এসব ওষুধ পাইকারি ক্রয় করে তা বিভিন্ন চা এবং পান দোকানীসহ ফেরি করে বিক্রি করে থাকেন।
এসব ওষুধের আদৌ কোন বিএসটিআই কিংবা ওষুধ প্রশাসন দপ্তরের ইনভয়েস তালিকা রয়েছে কি না সে ব্যাপারে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।
এ ব্যাপারে কেয়া সার্জিক্যাল এর কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ওষুধ বিক্রির বৈধতার জন্য ইনভয়েস তালিকা চাইলে সে তা দেখাতে ব্যার্থ হয়।
তবে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য কেয়া হসপিটালের মালিক আবুল কালাম গণমাধ্যমকর্মীদেরকে টাকা ম্যানেজ করতে ব্যার্থ হয়ে হুংকার দিয়ে বলেন,আমার উপরে অনেক বড় মাপের লোক আছে সাংবাদিকরা লিখে কিছু আমার কিছুই করতে পারবে না।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।