হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় জনতার বাজারে সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া চার সাংবাদিকের ওপর মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং দুটি ক্যামেরা ও ট্রাইপড ভাঙচুর করে।

শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন- জিটিভি ও বাসসের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ নূর উদ্দিন, এশিয়ান টিভির এসএম সুরুজ আলী, দীপ্ত টিভির আখলাছ আহমেদ প্রিয় এবং মাই টিভির নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ।

আরো পড়ুন:

বরিশালে পাওনা টাকার জেরে ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

লক্ষ্মীপুরে থানার ভেতরে ছাত্রদল নেতার হামলায় আহত ২

এশিয়ান টিভির এসএম সুরুজ আলী জানান, প্রশাসনের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও নবীগঞ্জের জনতার বাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর অবৈভাবে গরুর হাট বসানো হয়। প্রভাবশালীরা সেখান থেকে মোটা অঙের টাকা হাতিয়ে নেন। সড়কে চলাচলকারী লোকজন দুর্ভোগে পড়েন। এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বাজার কমিটির লোকজন তাদের সঙ্গে বাকবিতাণ্ডায় জড়ান।

এক পর্যায়ে বাজার কমিটির লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা দুটি ক্যামেরা ও একটি ট্রাইপড ভাঙচুর করে এবং একটি ট্রাইপড ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আহত সাংবাদিকরা হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

এ বিষয়ে জানতে জনতার বাজারে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ‍“আমি থানা এলাকার বাইরে ছিলাম, তবে বিষয়টি জেনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ

যবিপ্রবিতে বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

মিছিলে তারা ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সাবেক সহ-সমন্বয়ক ইয়াসকিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন, রাফিজ, শিবির নেতা রায়হান নেজামী প্রমুখ।

এসএম সুইট বলেন, “যারা গণহত্যার বৈধতা দিয়েছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন থেকে একটা তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসেনি। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে, তাদেরও নাম আসেনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জুলাইবিরোধী সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে আমরা কখনোই না। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদের ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজগুলো করানোর চেষ্টা করছে। আশা করছি, এটি ধোপে টিকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব যেহেতু শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের প্রতি। সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কৃত সিদ্ধান্তকে নাটক ও প্রহসন দাবি করে ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কার ও হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাতের নাম বাদ দিয়েই তারা বাদবাকি চুনোপুঁটিদের বহিষ্কার করার যে নাটক, যে প্রহসন, সেই প্রহসনকে আমরা সে ঘৃণ্যাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ