আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন প্রায় ছয় বছর আগে। খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন শুধু আইপিএলে। তবে সেটাও ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের ভূমিকা পরিবর্তন করে। উইকেটে যান হাতে গোনা কিছু বল বাকি থাকতে। নেমেই ঝড় তোলার চেষ্টা। তাতে সফলও বলা চলে। গত আইপিএলে রান করেছেন ২২০ স্ট্রাইক রেটে।

কিন্তু একটা প্রশ্ন তবু ওঠেই। জুলাইয়ে বয়স হতে চলেছে ৪৪ বছর। চেন্নাই সুপার কিংসে (সিএসকে) শুধু শেষ দিকে মাঠে নামার জন্য আর কত দিন খেলে যাবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি? চারপাশ থেকে উঠতে থাকা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।

আজ মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আইপিএলের ১৮তম আসরে খেলতে নামছেন ধোনি। চেন্নাইকে ৫টি শিরোপা জেতানো এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ‘আর কত দিন’ প্রশ্নের যে জবাব দিয়েছেন, তাতে অবশ্য ভবিষ্যতে প্রশ্নটা অপ্রাসঙ্গিকই হয়ে ওঠার কথা কারও কাছে। জিও স্টারকে ধোনি বলেন, ‘সিএসকের হয়ে যত দিন ইচ্ছা খেলতে পারি। এটা আমার ফ্র্যাঞ্চাইজি। আমি হুইলচেয়ারে থাকলেও তারা আমাকে নেবে।’

২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল মৌসুম পর্যন্ত আইপিএলে চেন্নাইকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ধোনি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়। 

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ