ঝিনাইদহে দশম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি করেছেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসাররা। সোমবার সকালে শহরের পিটিআই চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। সেখান থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয় র‌্যালিটি।

পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর ও পরে দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।

এসময় বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার অ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার সভাপতি মনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন দাস, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.

আসাদুজ্জামান, সুবীর কুমার ঘোষ, হাসান মাহমুদ, মো. খালেকুজ্জামান, শাজাহান রহমান, জেসমিন আরা পারভীন, শাহনাজ পারভীনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচি শেষে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রেডে কর্মরত থাকায় পেশাগতভাবে অবহেলিত ও হতাশ আমরা। অন্যদিকে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ কার্যক্রম চলমান। এতে করে একই বিভাগে দুটি পদ দশম গ্রেড হলে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা বাস্তবায়নে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই দায়িত্ব ও অভিজ্ঞতার নিরিখে মবম গ্রেডে উন্নীত হওয়া আমাদের ন্যায্য অধিকার। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ দাবি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহনাজ পারভীন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন একই গ্রেডে চাকরি করছি। গ্রেড উন্নয়ন হচ্ছে না। তাই নবম গ্রেড আমাদের ন্যায্য দাবি। আমরা চাই প্রধান উপদেষ্টা আমাদের দাবি বিশেষভাবে বিবেচনা করবেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ স ম রকল প অফ স র সহক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিআইডিতে বিচারবহির্ভূত হত্যার তদন্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক কর্মশালা

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে ‘সম্ভাব্য অবৈধ মৃত্যুর তদন্তসংক্রান্ত মিনেসোটা নীতিমালা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর (ইউএনআরসি) কার্যালয় এবং বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) যৌথ আয়োজনে ৩০ ও ৩১ জুলাই ঢাকার সিআইডি সদর দপ্তরে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সিআইডি।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিআইডির প্রধান ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. ছিবগাত উল্লাহ। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সিআইডি এখন একটি আধুনিক, তথ্যভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর তদন্ত সংস্থা হিসেবে গড়ে উঠছে। মানবাধিকার রক্ষা ও বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রমাণনির্ভর নিরপেক্ষ তদন্ত অপরিহার্য এবং এ ধরনের আন্তর্জাতিক কর্মশালা আমাদের সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে।’

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের বিচারবহির্ভূত, সংক্ষিপ্ত বা ইচ্ছামতো মৃত্যুবিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক মরিস টিডবল-বিন্‌জ। তিনি বলেন, মিনেসোটা নীতিমালা একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড, যা সন্দেহজনক মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা সৃষ্টি করে। উপস্থাপনায় তিনি লিবিয়া ও ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তদন্তের উদাহরণ তুলে ধরেন।

কর্মশালার শুরুতে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার শম্পা ইয়াসমীন দেশের ডিএনএ ও ফরেনসিক সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করেন। দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অংশ নেন দেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিচারক, চিকিৎসক ও ফরেনসিক সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধি এবং প্রযুক্তি ও অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা।

আলোচনার মূল বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল, আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী মৃতদেহ শনাক্তকরণ (দুর্যোগে নিহত ব্যক্তি শনাক্তকরণ), নিরপেক্ষ ফরেনসিক প্রতিবেদন তৈরির কৌশল, মানবাধিকার সংরক্ষণে তদন্তকারীদের নৈতিক ও পেশাগত দিকনির্দেশনা এবং বাস্তব ক্ষেত্রভিত্তিক কেস স্টাডি উপস্থাপন।

বিশেষ অধিবেশন পরিচালনা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মমতাজ আরা, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক জান্নাতুল হাসান এবং সিআইডির ডিএনএ বিশ্লেষক আহমেদ ফেরদৌস। তাঁদের আলোচনায় জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত অপরাধের তদন্তের অগ্রগতি, সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জও উঠে আসে।

সমাপনী দিনে বক্তারা বলেন, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের তদন্তপ্রক্রিয়াকে আরও মানবিক, কার্যকর ও স্বচ্ছ করা সম্ভব। সিআইডির প্রধান ভবিষ্যতে ফরেনসিক সক্ষমতা সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সমাপনী বক্তব্যে মরিস টিডবল-বিন্‌জ বলেন, আইনবহির্ভূত মৃত্যুর তদন্তে প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রাম্যমাণ ডিএনএ পরীক্ষাগার, ঘটনাস্থলে মরদেহ শনাক্তকরণ পদ্ধতি ও অন্যান্য প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগে জাতিসংঘ প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিআইডিতে বিচারবহির্ভূত হত্যার তদন্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক কর্মশালা