সন্ধ্যার আকাশ মানেই বিস্ময় আর সৌন্দর্যের এক মহাসম্মিলন। আজ সোমবার রাতের আকাশে বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু গ্রহাণু এবং মহাজাগতিক বস্তু দেখা যাবে। কোনটি খালি চোখে আবার কোনটি দেখতে ছোট টেলিস্কোপ বা বাইনোকুলারের প্রয়োজন হবে।

আজ রাত ৭টা ৫২ মিনিটে ছোট টেলিস্কোপের সাহায্যে মীন তারকা মণ্ডলে দেখা যাবে গ্রহাণু আইরিস। গ্রহাণু ম্যাসালিয়া রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে মেষ তারকা মণ্ডলে দেখা যাবে। ইউরেনাস গ্রহ বাইনোকুলারের মাধ্যমে দেখা যাবে রাত ৯টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত।

খালি চোখে রাত ১১টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত দেখা যাবে বৃহস্পতি গ্রহ। ছোট টেলিস্কোপের মাধ্যমে গ্রহাণু ইজেরিয়া রাত ১২টা ০১ মিনিট পর্যন্ত অরিগা তারকা মণ্ডলে এবং গ্রহাণু ইউনোমিয়া রাত ১২টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত দেখার সুযোগ মিলবে।

এ ছাড়া গ্রহাণু আইরিন রাত ১টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত মিথুন তারকা মণ্ডলে ছোট টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখা যাবে। অন্যদিকে মঙ্গল গ্রহ খালি চোখে রাত ১২টা ৩৯ মিনিট থেকে রাত ২টা ৭ মিনিট পর্যন্ত মিথুন তারকা মণ্ডলে দেখা যাবে। আর ভোরের গ্রহাণু অ্যাম্ফিট্রাইট রাত ২টা ৩৯ মিনিট থেকে ভোর ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত কর্কট তারকা মণ্ডলে দেখা যাবে।

সূত্র: দ্য স্কাই লাইভ

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ