রাজশাহীতে বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা
Published: 24th, March 2025 GMT
জ্বালানি খাতের স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে রাজশাহীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের একটি রেস্তোরাঁয় এই সভার আয়োজন করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পরিবর্তন’, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্ম জোট (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটার্নাল ডেব্ট (বিডব্লিউজিইডি)।
সভায় বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনাবিষয়ক মূল প্রবন্ধ যৌথভাবে উপস্থাপন করেন ক্লিনের প্রধান সমন্বয়কারী মাহবুব আলম এবং প্রচারাভিযান সমন্বয়কারী সাদিয়া রওশন।
মাহবুব আলম বলেন, দেশের শিল্প খাতের ছাদ ব্যবহার করে ৫ হাজার মেগাওয়াট ছাদভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করা সম্ভব, যা বছরে ৮ হাজার ১০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। একইভাবে আবাসিক ভবনের ছাদে ২৫ হাজার মেগাওয়াট ছাদভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করে বছরে ৪৮ হাজার ৬২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এই টেকসই ও দক্ষ জ্বালানি পরিকল্পনার কৌশলগত পরিবর্তন জীবাশ্ম জ্বালানির সম্প্রসারণকে কমিয়ে আনবে। তিনি আরও বলেন, ‘২০৩৫ সালের পর থেকে যখন বহু বিদ্যুৎকেন্দ্র অবসরে যাবে এবং দেশের উৎপাদন সক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করবে, তখন আমাদের এগোনোর পথ কী হবে? সেই অনিশ্চিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি কি না, তা গভীরভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।’
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর সভায় মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, পরিবেশ নিয়ে কাজ করা কর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন।
অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিকল্প সম্ভাবনা, নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতবিনিময় করেন। তাঁরা টেকসই ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। আলোচনা সভায় জ্বালানি খাতের বিকল্প সম্ভাবনা, স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল