মজুরির দাবিতে আন্দোলনে এসে পোশাককর্মীর মৃত্যুর বিচারের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল
Published: 24th, March 2025 GMT
বকেয়া মজুরি ও ঈদ বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত এক তৈরি পোশাককর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় মালিক ও দায়ীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের শ্রমিকেরা। সোমবার রাজধানীর শ্রম ভবনের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। শ্রমিকদের বেতন বকেয়া পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর শ্রম ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। তাঁরা লাল ও কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করেন। নানা ধরনের স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিলটি পল্টন মোড় দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে ফিরে আসে।
রাজধানীর শ্রম ভবনের সামনে বেতন–ভাতার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে রোববার বিকেলে অসুস্থ হয়ে রাম প্রসাদ সিং (৪০) নামের একজনের মৃত্যু হয়। রাম প্রসাদ গাজীপুরের স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড ও ইয়াং ওয়ান্স (বিডি) লিমিটেডের সহকারী প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রাম প্রসাদ সিংয়ের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলায়। তাঁর বাবা কার্তিক কুমার। তিনি গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করতেন।
রোববার অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাম প্রসাদ সিংকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তি বলেন, ‘১৮ মার্চ থেকে বকেয়া বেতন ও আইনানুগ পাওনার দাবিতে চাকরিচ্যুত ওই গার্মেন্টের শ্রমিক-কর্মচারীরা রাজধানীতে শ্রম ভবনের সামনে আন্দোলন করে আসছিলেন। সেখানে রাম প্রসাদ সিং অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আমরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রথমে তাঁকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি জালাল হাওলাদার বলেন, ‘আমরা আমাদের ভাইদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে মাঠে নেমেছি। প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছিল মালিকের সঙ্গে বসে সুরাহা করে দেবে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা শেষ হয়ে গেলেও প্রশাসন থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। অধিকার না আদায় হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব।’
শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ম প রস দ স আম দ র অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা
প্রতিনিয়ত জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণায় পড়ে এ পরিস্থিতিতে আরও বড় ধরনের ভুল করে ফেলি আমরা। সে ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে কী করবেন আর কী করবেন না, তা জেনে রাখা ভালো।
যেমন–
পুড়ে গেলে : গরম তেল পড়ে হোক বা আগুনে পুড়ে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পোড়া স্থানে পেস্টের আস্তরণ দিই। অনেকে ডিম ভেঙে দেন, কেউ বা লাগান চুন। এগুলো ক্ষতিকর। পুড়ে গেলে ঠান্ডা পানির ধারা রাখতে পারেন ১০ মিনিট; অন্য কোনো কিছু নয়।
ব্যথা পেলে : হাড় ভাঙলে নড়াচড়া না করে ভাঙা স্থানের দু’পাশে কাঠ দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে আনতে হবে।
রক্ত ধুয়ে ফেলা নয় : রক্তপাত হতে থাকলে পরিষ্কার কাপড় বা গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। বেশি কেটে গেলে বা রক্তপাত ১০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ না হলে হাসপাতালে নিতে ভুলবেন না।
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে : আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে বসাতে হবে। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ও অনামিকা দিয়ে নাসারন্ধ্র টানা ১০ মিনিট বন্ধ রাখতে হবে। এ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। বরফ নাকের ওপরে দেওয়া যেতে পারে। যদি একটানা ১০ মিনিট নাসারন্ধ্র চেপে ধরে রাখার পরও রক্ত বন্ধ না হয়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
সাপে কাটলে : সাপে কাটার স্থানের কিছু ওপরে আমরা শক্ত বাঁধন দিই। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত-পা পচে যেতে পারে। বাঁধন দিতে হবে, তবে রশি দিয়ে নয়; গামছা, কাপড় দিয়ে ঢিলে করে বাঁধলেই চলবে।
বিষপানে নয় গোবরপানি : বিষ পান করলে অনেকে গোবরমিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করার চেষ্টা করেন। এটি ভ্রান্ত ধারণা। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; যা গুরুতর। বিষপানের এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস