বন্দরে ডাকাত সরদার ভাল্লুক গ্রেপ্তার
Published: 25th, March 2025 GMT
বন্দরে চালক ও হেলপারকে মারধর করে ট্রাকসহ কোটি টাকা মূল্যের কানেকন্টর ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার মামলায় ডাকাত সরদার নূরে আলম ভাল্লুক (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত নূরে আলম ভাল্লুক বন্দর থানার ২৬ নং ওয়ার্ডের রামনগর এলাকার শামসুল হক ওরফে সামু ডাকাতের ছেলে। ধৃতকে উল্লেখিত মামলায় মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গত সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে বন্দর থানার রামনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার মামলা নং-৯(১)২৫ ধারা- ৩৯৫/ ৩৯৭ পেনাল কোড। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোর রাতে মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কের বন্দরের তালতাল এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়া কবিরপুর এলাকায় অবস্থিত গ্রীন ডাইনেস্টি লিমিটেড নামের তাদের এক ফ্যাক্টরি থেকে গত বুধবার রাতে ৪ লাখ ৭৫ হাজার পিছ কানেকন্টর নিয়ে একটি ট্রাক বন্দরের লক্ষনখোলা এলাকায় অবস্থিত ডিজেডিসি চায়না ব্যাটারী ফ্যাক্টরির উদ্দেশে রওনা হয়।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে মদনপুর- মদনগঞ্জ সড়কের ইস্পাহানি তালতলা এলাকায় ট্রাকটি এলে ১২/১৫ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ট্রাকের গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চালক হেলপারকে মারধর করে কানেকন্টর ভর্তি ট্রাক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাকিমপুর সীমান্ত থেকে আটক ১৫ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি
অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তথ্য সহায়তার আহ্বান বিজিবির
ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের মধ্যে আটজন নারী, দুইজন পুরুষ ও পাঁচজন শিশু। তারা সাতক্ষীরা সদর, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা। তাদের রাতে সাতক্ষীরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত পার হওয়ার সময় বাংলাদেশি নাগরিকরা বিএসএফের কাছে আটক হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী গ্রামের মো. শাহীন সানা, তার স্ত্রী নিলুফা ও কন্যা শাহিনা সুলতানা, একই উপজেলার নওয়াবেকি গ্রামের মিস সুরাইয়া ইয়াসমিন, মোছা. রাবিয়া বেগম, বড়কুপট গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, লিপিকা খাতুন, নাজমা খাতুন, জিম তরফদার, বয়ারসিং গ্রামের মোছা. ফারহানা আক্তার ও তার ছেলে ফারহান ঢালী, উত্তর আটুলিয়া গ্রামের সেমিনা খাতুন, আশাশুনি উপজেলার হিজলিয়া গ্রামের রাবিয়া খাতুন ও রিয়াদ হাসান এবং সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ফুলমতি খাতুন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামিনুল হক বলেন, “ভারতের হাকিমপুর সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকরা বিএসএফের হাতে আটক হন। পরবর্তীতে বিএসএফের আমুদিয়া কোম্পানি কমান্ডার বিকাশ কুমার সাতক্ষীরার তলুইগাছা কোম্পানি কমান্ডার আবুল কাশেমের নিকট পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এসব বাংলাদেশিদের হন্তান্তর করেন।”
তিনি আরো বলেন, “বিজিবি ফেরত আনা নারী-পুরুষ ও শিশুদের সাতক্ষীরা থানায় হন্তান্তর করেছে। পরিচয় যাচাই শেষে তাদের পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ