ফরিদুপুরে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কাউসার আকন্দকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা তসলিম প্রামাণিক (৩০) নামের একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি মহল্লার ঝিলটুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কাউসার ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কাউসার আকন্দ ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার তালতলা এলাকার বাসিন্দা হোটেল ব্যবসায়ী দুলাল আকন্দের ছেলে।

কোতোয়ালি থানা–পুলিশ জানায়, ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন কাউসার। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকরের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

কাউসার আকন্দের বাড়ি ফরিদপুর সদর হলেও তিনি ভাঙ্গায় গিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। ফরিদপুর-৪ আসনের এলাকাভুক্ত বিভিন্ন সভা–সমাবেশে তাঁকে দেখা যেত। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ভাঙ্গা এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ছিল।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল তরফদার বলেন, কাউসারকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ওই দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর আকন দ সহয গ

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ