তারকা দম্পতি অনন্ত-বর্ষা জুটি বেঁধে বেশ কটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কয়েক দিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে সিনেমা ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন বর্ষা। সন্তানদের কথা চিন্তা করে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান এই নায়িকা।  

বর্ষা মনে করেন, সন্তানেরা বড় হলে নায়িকা হিসেবে তাদের মাকে কীভাবে নেবে, সেই চিন্তা থেকেই অভিনয় থেকে দূরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।  

নায়িকার এমন বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে অভিনেত্রীরা বর্ষার এমন মন্তব্য ভালোভাবে নিচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন হালেন ক্রেজ পরীমণি। দিয়েছেন ফেসবুক পোস্টও। এবার বর্ষার বক্তব্যের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দিলেন চিত্রনায়িকা মৃদুলা আহমেদ রেসি।  

আরো পড়ুন:

বড় পর্দায় আর এইচ সোহেলের অভিষেক

আটচল্লিশে থেমে গেল নায়কের জীবন

সন্তানদের সঙ্গে তোলা ছবি শেয়ার করে এ অভিনেত্রী লেখেন, “আমার এই ছোট্ট জীবনে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া, নাচের প্রতিযোগিতায় অসংখ্য পুরুস্কার’সহ গোল্ড মেডেল পাওয়া, ৫০টি সিনেমায় অভিনয় করে হয়তো সেরকম কোনো স্বীকৃতি পাইনি। তবে আমার সন্তানেরা যখন স্কুল থেকে এসে বলে, ‘মাম্মা আমাদের টিচাররা, আমাদের বন্ধুরা, আমাদের অনেক প্রশংসা করে। কারণ আমাদের মা একজন অভিনেত্রী। আমাদের মাকে ইচ্ছা করলে গুগুল, ইউটিউব ও উইকিপিডিয়াতে দেখা যায়।’ আমার সন্তানেরা আমাকে নিয়ে অনেক গর্বিত ফিল করে যে, আমি তাদের মা। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।”  

এরপর বর্ষার প্রসঙ্গ টেনে রেসি লেখেন, “ম্যাডাম আপনি তো এমন কোনো অসামাজিক কাজ করেন নাই যে, ছেলে-মেয়েরা বড় হয়ে কি বলবে সে জন্য আপনার লজ্জিত হতে হবে। তাহলে আমি বলব, অভিনয়কে ভালোবেসে নয়, গাড়ি-বাড়ি সম্পত্তির জন্যই আপনি অভিনয়কে পুঁজি হিসেবে নিয়েছিলেন।”  

কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে রেসি লেখেন, “আপনার বক্তব্য মতে, অভিনয় জগতের সমস্ত বড় বড় শিল্পীদের যাদের সন্তান আছে তাদেরও লজ্জা পাওয়া উচিত? তাহলে এতগুলো বছর কেন কাজ করেছেন? আপনার অভিনয় ছেড়ে দেয়ার অন্য কোনো কারণ দেখাতে পারতেন। এমনিতেই সাধারণ জনগণ আমাদেরকে কটু কথা বলতে ছাড়ে না। আপনি আবার আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন!”  

সৎ নিয়তে নিজের কাজ করার কথা জানিয়ে রেসি বলেন, “আমরা যারা মুসলমান তারা সবাই নিজের ধর্মটাকে মনের ভিতর ধারণ করি। আমাদের যেখান থেকে অর্জন, যত পরিচিতি সেই জায়গাটাকে কোনোদিন অস্বীকার করতে পারব না। নিজের কাজকে, পেশাকে সৎ নিয়তে করা উচিত।”  

করোনার পর পরিবার নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন রেসি। সেখানে পরিবারের সঙ্গে সময় পার করছেন। খুব সহসা দেশে ফিরছেন না এক সময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন। 

দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”

ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত।  তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ