‘র’এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার, যা বলল ভারত
Published: 26th, March 2025 GMT
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং- 'র' এর ওপর নিষেধাজ্ঞার যে সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থা, সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত সরকার।
মঙ্গলবার ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) এর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৫ প্রকাশিত হয় যেখানে 'র' এর মতো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধর্মীয় স্বাধীনতা গুরুতরভাবে লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি।
বুধবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারত শুধু মার্কিন কমিশনের ওই বিবৃতিকে খারিজই করেনি, ইউএসসিআইআরএফ-কে আন্তর্জাতিকভাবে একটি ‘উদ্বেগের সংস্থা’ (এনটিটি অফ কনসার্ন) হিসেবে চিহ্নিত করারও দাবি তুলেছে।
দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই সংস্থা যেভাবে পরিস্থিতির ‘পক্ষপাতপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ মূল্যায়ন’কে তাদের প্যাটার্ন করে তুলেছে এবং ‘তথ্যকে বিকৃত করে পেশ করছে’ তাতে ওই বর্ণনাই তাদের প্রাপ্য।
সরাসরি না বললেও ভারত ওই রিপোর্টটিকে কার্যত ‘ফেইক’ বলেই দাবি করেছে। ২০২৩ সালে নিউইয়র্কে একজন আমেরিকান শিখ নাগরিক হত্যাচেষ্টায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং- 'র' এর একজন কর্মকর্তা ও দেশটির ছয়জন কূটনীতিকের জড়িত থাকার অভিযোগ আবারো সামনে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র ওই সংস্থা।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন ওই কমিশনের ২০২৫ সালের বার্ষিক রিপোর্ট তাদের নজরে এসেছে– কিন্তু আরও একবার সেখানে তাদের পক্ষপাতপূর্ণ ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক প্যাটার্নই পরিলক্ষিত হচ্ছে।
যেসংস্থা এরকম ‘এজেন্ডা-ভিত্তিক’ দাবি করে থাকে, তাদের অথেন্টিসিটি বা বৈধতা কতটা, সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে।
‘ইউএসসিআইআরএফ যেভাবে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে বারবার ভুলভাবে তুলে ধরতে চাইছে এবং ভারতের প্রাণবন্ত ও বহুত্ববাদী সমাজকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাইছে, তাতে বোঝা যায় ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে তাদের সত্যিকারের উদ্বেগ নেই– বরং এর পেছনে একটা ইচ্ছাকৃত ডিজাইন আছে’, মন্তব্য করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
ভারত আরও দাবি করেছে, ওই প্যানেল যে ভারতের আসল চিত্রটা তুলে ধরবে তারা সেটা আশাও করে না।
‘১৪০ কোটি মানুষ এই দেশে থাকেন এবং পৃথিবীতে যতগুলো ধর্মের অস্তিত্ব আছে, তার সবগুলোর প্রতিনিধিত্ব এখানে আছে। কিন্তু ভারতের এই বহুত্ববাদী কাঠামো এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সম্প্রীতিতে ভরা সহাবস্থানকে ইউএসসিআইআরএফ স্বীকৃতি দেবে, এটা আমরা কখনও আশাও করি না,’ বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। সূত্র: বিবিসি
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ওই ব ব ত
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদি আরবের ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ, আবেদনের শেষ তারিখ আজ
সৌদি আরব এখন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য স্থানগুলোর মধ্যে একটি। ইতিহাসসমৃদ্ধ, প্রাচীন সংস্কৃতি এবং সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য দেশটিতে এখন অনেকেই পড়াশোনা করতে যান। ঐতিহ্য এবং উদ্ভাবনে সমৃদ্ধ দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আনাগোনা বেড়েছে। সৌদি আরব ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তির ঘোষণা দিয়েছে। শর্তপূরণ সাপেক্ষে যে কেউ করতে পারবেন আবেদন। উচ্চশিক্ষা অর্জনের এ সুবর্ণ সুযোগে রিয়াদ, নিওম, জেদ্দা এবং মদিনার সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ থাকবে।
ইসলামিক স্টাডিজ অথবা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে পড়াশোনার স্বপ্ন থাকলে সৌদি আরব হতে পারে আপনার গন্তব্য। বিশ্বের ১৭০টি দেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেন সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সৌদি আরবের ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বৃত্তিতে দেশটির ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ মিলবে।
কারা আবেদন করতে পারবেন: আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন আবেদনের পর পড়াশোনার সুযোগ মিলবে সৌদি আরবের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সৌদি আরবে কেন পড়াশোনা করবেন
পূর্ণ টিউশন ফি
মাসিক উপবৃত্তি
বিনামূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা
বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা
যাতায়াতের জন্য বিমান টিকিট
আবেদনের শেষ তারিখ: ১৪ জুন, ২০২৫।
গ্রন্থনা: জাবেদ ইকবাল