১৭ মার্চ হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশ সফর ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে দারুণ উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। তবে সেই উচ্ছ্বাসের পর্দা নামল আজ, ইংল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন এই প্রবাসী ফুটবলার। যাওয়ার আগে ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে জানিয়েছেন, তিনি আবার ফিরবেন জুনে।  

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাতে ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে সকালে শিলং থেকে গুয়াহাটি-কলকাতা হয়ে ঢাকায় ফেরে বাংলাদেশ দল। বিকালে দেশে ফেরেন হামজাও। তবে তিনি ছিলেন মাত্র এক রাতের জন্য। আজ (২৭ মার্চ) সকালে ইংল্যান্ডের শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন তিনি। দলের অন্য সদস্যরা যার যার ক্লাবে যোগ দেবেন বা ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরবেন।  

ঢাকা ছাড়ার আগে হামজা এত উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ভক্ত এবং অন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘এটা আমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আমি বোঝাতে পারব না। ধন্যবাদ। ইনশাআল্লাহ, আমি জুনে ফিরে আসব। আমার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।’  

১০ দিনের সংক্ষিপ্ত সফর শেষে জুনে আবার ফিরবেন হামজা। আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের হোম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবেন তিনি।  

এদিকে, ২৮ মার্চ দিবাগত রাত ২টায় কভেন্ট্রির বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে হামজার ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডের। প্রিমিয়ার ডিভিশনের পয়েন্ট তালিকায় দলটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে, তবে লিডস ইউনাইটেডের সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আছে। কভেন্ট্রির বিপক্ষে ম্যাচ মিস করতে চান না বলেই দ্রুতই ক্লাবে ফিরে যাচ্ছেন হামজা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

আরো পড়ুন:

৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া

মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়

প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।

বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।

চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।

তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।

বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।

তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ