পিএসএলে খেলার ছাড়পত্র পেলেন রিশাদ-নাহিদ-লিটন
Published: 27th, March 2025 GMT
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলার জন্য ছাড়পত্র পেয়েছেন জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার লিটন কুমার দাস, নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। টাইগার পেসার নাহিদকে দেওয়া হয়েছে আংশিক ছাড়পত্র। গতকল বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস জানান, লিটন ও রিশাদকে পুরো লিগের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তিন ক্রিকেটারই ২৪ মার্চ ছাড়পত্র হাতে পেয়েছেন। পিএসএলে নাহিদের দল পেশোয়ার জালমি, লিটন খেলবেন করাচি কিংসে আর রিশাদকে নিয়েছে লাহোর কালানার্স।
১১ এপ্রিল থেকে ১৮ মে হবে পিএসএল টি২০ টুর্নামেন্ট। এ সময় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ মাঠে থাকলেও লিটন, রিশাদ পিএসএলে খেলবেন। ঢাকা লিগে লিটনের দল গুলশান ক্লাব, রিশাদের প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। বিসিবির মতো ক্লাব থেকেও ছাড়পত্র নিশ্চিত করেছেন তারা। নাহিদ রানা পেশোয়ার জালমিতে যোগ দেবেন ২৬ এপ্রিল থেকে। কারণ ২০ থেকে ২৪ এপ্রিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলবেন তিনি। এটিই হবে টাইগার ফাস্ট বোলারের প্রথম বৈশ্বিক টি২০ লিগ।
রিশাদ গত বছর কানাডার গ্লোবাল টি২০ আর অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশে ডাক পেলেও খেলা হয়নি। সেদিক থেকে পিএসএল দিয়ে বৈশ্বিক লিগে অভিষেক করবেন এ লেগ স্পিনার। লিটন আগে আইপিএল, সিপিএল, লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে খেললেও পিএসএলে প্রথম। টানা ম্যাচ খেলার সুযোগ নিতে চান তিনি। বিসিবি পুরো সময়ের জন্য ছাড়পত্র দেওয়ায় খুশি লিটন।
জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটারকে পিএসএলে ছাড়পত্র দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ সমকালকে বলেন,‘বৈশ্বিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আমাদের খেলোয়াড় খুব একটা খেলে না। যে কায়জন সুযোগ পেয়েছে তারাও পুরো সময় খেলতে পারনি, লিগের মাঝপথে ফেরত আনায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছাড়পত্রই দেওয়া হতো না। এর ফলে বোর্ডগুলোর সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আমরা সম্পর্ক উন্নয়নে চেষ্টা করছি। তিনটি ছেলে পিএসএলে খেলতে পারলে ভালো হবে। ভবিষ্যতে অন্যরাও সুযোগ পাবে।’
এবার ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও লাহোর কালান্দার্সের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে পিএসএল। উদ্বোধনী ম্যাচে দেখা যেতে পারে লেগি রিশাদকে। পরের দিন লিটনের করাচি কিংস খেলবে মুলতান সুলতানর্সের বিপক্ষে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল টন দ স প এসএল ছ ড়পত র প এসএল
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।