তারেক রহমানের উন্নয়ন পলিসি নিয়ে নিউ জার্সিতে পাইলট প্রকল্প
Published: 27th, March 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পলিসি নিয়ে গ্রিন গ্রোথ নামের একটি পাইলট প্রকল্প চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি সরকার। ‘একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দেবে স্বচ্ছ্বলতা’- জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের এই স্লোগানটিকে প্রকল্পটির মূল স্লোগান হিসেবে রাখা হয়েছে। প্রকল্পের গাড়ি, ব্রুশিয়ার, সদস্য ফার্মসহ সকল ক্ষেত্রে স্লোগানটি ব্যাবহার করা হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিউজার্সি ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এনজেইডিএ) অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির (বিএএসজে) তত্ত্বাবধায়নে নিউ জার্সির আটলান্টিক সিটিতে দুই বছরের জন্য পাইলট প্রকল্পটি পরিচালিত হবে। সংবাদ সম্মেলন আয়োজকদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার সাউথ জার্সির বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএএসজে প্রেসিডেন্ট জহিরুল ইসলাম বাবুল, গ্রিন গ্রোথ’র প্রজেক্ট রাইটার ও প্রজেক্ট ইনিশিয়েটর (পিআই) আশিক ইসলাম, বিএএসজে’র সেক্রেটারি জাকিরুল ইসলাম, ট্রাস্টি চেয়ারম্যান মো.
গ্রিন গ্রোথ প্রকল্পের নেপথ্যের ইতিহাস তুলে ধরে আশিক ইসলাম বলেন, গোটা বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, বাড়ছে খাদ্যমূল্য। দিশেহারা নিম্নআয়ের মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রও এর বাইরে নয়। সরকার নানা উদ্যোগের পাশাপাশি তিন ধাপে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ৪, ১৩ ও ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। নিউ জার্সির ২১টি কাউন্টির (অনেকটা বাংলাদেশের জেলার মতো) মধ্যে প্রাথমিকভাবে আটলান্টিক কাউন্টির আটলান্টিক সিটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে পাইলট প্রকল্পের জন্য।
২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সারা দেশে এই কর্মসূচি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আশিক ইসলাম বলেন, গ্রিন গ্রোথ প্রজেক্টের মাধ্যমে বাজারে খাদ্য সরবরাহ বাড়বে, ফলে মূল্য হ্রাস পাবে।
উল্লেখ্য, তারেক রহমানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের তৃণমূল মানুষকে স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যে ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় দেশব্যাপী দারিদ্র বিমোচন ও নারী উন্নয়ন কর্মসূচি। ‘একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দেবে স্বচ্ছলতা’ স্লোগানের এ কর্মসূচির আওতায় গ্রামে গ্রামে হাঁস মুরগি, গরু-ছাগল, মাছের পোনা বিতরণ, বাড়ির আঙিনায় সবজি উৎপাদন, বিনামূল্যে সার, বীজ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়। দেশব্যাপী প্রায় ৩ হাজার ৯৮২টি পরিবারকে স্বচ্ছলতার আওতায় আনা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন প রকল প প রকল প র আটল ন ট ক ইসল ম রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
পা পিছলে ট্রেনের নিচে সবজি বিক্রেতা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চলন্ত ট্রেনের সামনে দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। পাশাপাশি দুটি ট্রেন তুলনামূলক কম গতিতে চলছিল। হঠাৎ একটি ট্রেনের সামনে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। ট্রেনটি চলে যায় তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম জালাল উদ্দিন ওরফে জালু (৪০)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চরআলগী ইউনিয়নের নিধনিয়া চর ব্যাপারী পাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
দুর্ঘটনার পর জালাল উদ্দিনকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা বিজন মালাকার।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, জালাল উদ্দিন এলাকায় কৃষিকাজ করেন এবং সেখান থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্রি করেন। তিনি প্রায়ই ট্রেনে চেপে শ্রীপুর যান এবং রাতের ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। গতকাল দুপুরে শাকসবজি নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর যান। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ধরতে রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি দৌড় দেন। এ সময় ট্রেনটি শ্রীপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল। সেটি ধরতে গিয়ে পাশের রেললাইনে থাকা ঢাকাগামী মহুয়া এক্সপ্রেসের ট্রেনের নিচে পড়ে যান জালাল উদ্দিন।
নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী ও গফরগাঁও কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্যাপারী জানান, আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে জালাল উদ্দিনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তাঁর পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারাল।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক।