মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মুরাদনগর থানার ওসিসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১১ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলাটি করেন নবীপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালামের ছোট ভাই মেহেদী হাসান।

প্রধান আসামি ওসি জাহিদুর রহমান, ২ নম্বর আসামি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুরাদনগর উপজেলার সমন্বয়ক ওবায়দুল হক সিদ্দিক। এজাহারে আরও ২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আদালত  মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সমন্বয়ক ওবায়দুল হক সিদ্দিকীসহ অন্য আসামিরা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। ওসি জাহিদুর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী এবং অনুগত কর্মকর্তা। বাদীর ভাই শ্রমিকদল নেতা আবুল কালাম পেশায় অটোরিকশার চালক। গত ২৪ মার্চ সমন্বয়ক ওবায়দুল হক সিদ্দিকীসহ এজাহারে উল্লেখ করা অন্যরা শ্রমিকদল নেতা আবুল কালামের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তবে শ্রমিকদল নেতা আবুল কালাম চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রতিবাদ করেন। সে সময় সমন্বয়ক ওবায়দুল হক মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমানকে ফোন করে ঘটনা জানান। খবর পেয়ে ওসি জাহিদুর রহমান একদল পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে শ্রমিকদল নেতা আবুল কালামকে আটক করে ধরে থানায় নিয়ে যায়।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়, শ্রমিকদল নেতা আবুল কালামের ভাই মেহেদী হাসান মুরাদনগর থানায় গিয়ে আবুল কালামকে ছেড়ে দিতে ওসিকে অনুরোধ করেন। এ সময় মেহেদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন ওসি জাহিদুর রহমান। মেহেদী ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে হুমকি দেন ওসি জাহিদুর রহমান। পরে আবুল কালামের আটকের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন মুরাদনগর থানায় উপস্থিত হলে ওসি জাহিদুর রহমান হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিয়ে মুরাদনগর থানা চত্বরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। এ সময় সমন্বয়ক ওবায়দুল হক সিদ্দিকীসহ তার সঙ্গে থাকা অন্যরা বাদী মেহেদী হাসানকে পিটিয়ে আহত করে।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান সমকালকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও কোনো কাগজ পাইনি। মামলা হলে আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ হ দ র রহম ন ম র দনগর থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।

এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।

শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।

এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ