Samakal:
2025-09-18@03:39:13 GMT

তোষামোদ থামাতে ১২ নির্দেশনা

Published: 28th, March 2025 GMT

তোষামোদ থামাতে ১২ নির্দেশনা

মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঠিক দায়িত্ব পালনে মনোযোগী হতে এবং সরকারের সব ধরনের স্তুতিবাক্য পরিহারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হয়রানিমুক্ত নাগরিকসেবা নিশ্চিত করাসহ ১২ দফা নির্দেশনা জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) দিয়েছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার ডিসিদের কাছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের  পাঠানো চিঠিতে এসব নির্দেশনা রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, জমির নামজারি, রেজিস্ট্রেশনসহ জনগণের সব সেবাই হয়রানি এবং দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে হতে হবে। সব ধরনের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করতে হবে। 

পুলিশি তদন্ত ছাড়াই পাসপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনীয় রাখাসহ জমি রেজিস্ট্রেশন, জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো সেবায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা দূর করারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা দেওয়া হয় ঠিকঠাক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের আইন পুরোপুরি মেনে চলার জন্য। সব রকমের ভয়ভীতি, তদবির ও স্তুতিবাক্য পরিহারে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। ডিসিদের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সরকারের নজরদারিতে রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।

 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক

শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা  আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। 

আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”

আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিউলিপ এখনো বাংলাদেশের ভোটার, আছে পাসপোর্ট, এনআইডিও
  • পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার ১০ সুবিধা
  • পাবনার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক, অভিযোগ শ্যালকের 
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
  • সঞ্চয়পত্র নাকি এফডিআর—কোথায় বিনিয়োগ করবেন