ব্যাপক সমালোচনা ও স্থানীয়দের তীব্র অসন্তোষ উপেক্ষা করে গ্রিনল্যান্ড সফরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও তাঁর স্ত্রী ঊষা ভ্যান্স। 

শুক্রবার সকালে গ্রিনল্যান্ডে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি পিটুফিক স্পেস বেস পরিদর্শনের জন্য রওনা দেন তারা। তাদের এ সফরে আরও যুক্ত হয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, জ্বালানি উপদেষ্টা ক্রিস রাইট এবং সিনেটর মাইক লি। তাদের এ সফরকে গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন প্রভাব বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে ঊষা ভ্যান্স ও তাঁর ছেলে গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুকে কুকুর-স্লেজ প্রতিযোগিতা দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে, সফরের ব্যাপক নিরাপত্তা এবং হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর বিষয়টি আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। প্রবল সমালোচনার মুখে সফরের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাতিল করে শুধু সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শনের পরিকল্পনা রাখা হয়। সিএনএন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও কো চেয়ারম্যানের সম্পদ জব্দে যুক্তরাজ্যে চিঠি দিয়েছে দুদক

বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান (সানভীর) ও কো–চেয়ারম্যান সাদাত সোবহানের সম্পদ জব্দে যুক্তরাজ্যে চিঠি দিয়েছে দুদক।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা একটি জটিল প্রক্রিয়া। তবে আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের আদালতের পাশাপাশি সে দেশের আদালতে যদি আমরা প্রমাণ করতে পারি, তাহলে এসব সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’

এ ছাড়া সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমামের সম্পদ জব্দে চিঠি দিয়েছে দুদক।

সংবাদ সম্মেলনে টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক যতই বলুক তিনি ব্রিটিশ নাগরিক, আমাদের কাগজপত্রে তিনি বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা আমাদের নাগরিকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। টিউলিপ যদি নির্দোষ হন, তাহলে তাঁর মন্ত্রিত্ব গেল কেন? তিনি কেন সরে গেলেন? তাঁর আইনজীবী আমাদের কাছে কেন চিঠি লিখলেন।’

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক। খালা শেখ হাসিনার শাসনামলে অবৈধভাবে জমি গ্রহণের অভিযোগ টিউলিপের বিরুদ্ধে এনেছে দুদক। যুক্তরাজ্যের সাবেক ট্রেজারি মিনিস্টার টিউলিপ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানোর অভিযোগ করেছেন টিউলিপ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ