ঈদের ছুটিতে নানাবাড়ি বেড়াতে এসেছিল পাঁচ বছরের শিশু মুনতাহা। নানা বাবুল সরদার শখ করে নাতনিকে নিয়ে গিয়েছিলেন ট্রেন দেখাতে। কিন্তু দেখে আর ঘরে ফেরা হলো না তাদের। নানাবাড়িতে ঈদ করা হলো না শিশু মুনতাহার। ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছে দু’জনই।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী-খুলনা রুটের বাঘইল দোতলা সাঁকোর ওপরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঈদের ছুটিতে নানাবাড়ি বেড়াতে এসেছিল মুনতাহা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নানা বাবুল সরদার তাকে নিয়ে বাঘইল দোতলা সাঁকোর ওপরে ওঠেন। 

এ সময় ট্রেনের একটি সান্টিং ইঞ্জিনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবুল সরদার। মুনতাহাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।  

ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, নাতনিকে ট্রেন দেখাতে এসে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম নত হ

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।

গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ