কখনও ভাবেননি রঙিন ভুবনে পদচারণ হবে তাঁর। কিন্তু হঠাৎ করেই সামাজিক মাধ্যমে এক নির্মাতার কাছ থেকে পেয়ে যান অভিনয়ের প্রস্তাব। সাহস করে দাঁড়িয়ে যান ক্যামেরা সামনে। সেই শুরু। এরপর কাজ করতে করতে কখন যে অভিনয়ের প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়ে গেছে, তা বুঝতেই পারেননি সুনেরা সিনথিয়া। যখন বুঝতে পারলেন, তখন দেখলেন স্বপ্নের জগৎটা একেবারেই বদলে গেছে। তাই অভিনয়কে আপন করে নিতে আর সময় লাগেনি। এই হলো তরুণ অভিনেত্রী ও মডেল সুনেরা সিনথিয়ার সেলুলয়ডের জগতে ব্যস্ত হয়ে ওঠার ইতিবৃত্ত।  

২০২২ সালে ইমরাউল রাফাতের পরিচালনায় ‘ওপেন কিচেন’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে মিডিয়ায় অভিষেক তাঁর। এরপর বেশ কয়েকটি নাটকে তাঁকে দেখা গেছে। অভিনয়টা ধারাবাহিক নাটক দিয়ে শুরু হলেও এখন একক নাটক নিয়ে তাঁর ব্যস্ততা। আসছে ঈদের জন্য সুজন হাবিবের পরিচালনায় ‘শালা দুলাভাই’ নামে রোমান্টিক গল্পের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এটি প্রচার হবে এশিয়ান টিভিতে। পরে দেখা যাবে ইউটিউবে। এ ছাড়া সম্প্রতি তিনি অভিনয় করেছেন ‘হিল্লা বর’ নামে একটি নাটকে। এটি প্রচার হচ্ছে ইউটিউবে। অভিনয়ের পাশাপাশি সুপার শপ স্বপ্নের ওভিসি ও ভিশনের বিজ্ঞাপনেও মুখ দেখিয়েছেন তিনি। 

সুনেরা সিনথিয়া বলেন, মানুষ যখন সামাজিক মাধ্যমে ছবি দেখে বলত ‘তুমি তো অভিনয় করতে পারো’, তখনই মডেলিং ও অভিনয়ের স্বপ্ন দেখি। মাঝে মাঝে আমি ভাবতাম, পারব কী পারব না। যখন টুকটাক করতে করতে শিখলাম, তখন কনফিডেন্ট লেভেল বাড়ল। মনে হলো যদি লেগে থাকি, তাহলে অভিনয় করতে পারব। কতটুকু পেরেছি, দর্শকই ভালো বলতে পারবেন।’    

এই সময়ে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা নিয়েও সুনেরা কথা বলেন, ‘তিন বছরের অভিনয় ক্যারিয়ার হলেও পড়াশোনার জন্য অভিনয়ে বেশি মনযোগী হতে পারিনি। সম্প্রতি ম্যানেজমেন্টে বিবিএ শেষ করেছি। পড়াশোনার চাপ একটু কম। এখন পুরোদমে কাজ শুরু করব বলে ভাবছি।’ দর্শক মনে দাগ কাটার মতো আরও কিছু কাজ করতে চান সুনেরা। ছোট পর্দার পাশাপাশি ভালো গল্প ও চরিত্রের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নিজেকে মেলে ধরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র ট ভ ন টক

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন

অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।

এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।

অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।

আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার