সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ফ্রেন্ডস’ নামে নতুন একটি ট্যাব যুক্ত হয়েছে। মেটা বলছে, এই ট্যাবের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাঁদের বন্ধুদের পোস্ট, রিল, স্টোরি, জন্মদিনসহ নানা তথ্য এক জায়গায় দেখতে পারবেন।

বর্তমানে ফেসবুকের হোম ফিডে বন্ধু, পেজ, গ্রুপ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুপারিশভিত্তিক বিভিন্ন কনটেন্ট দেখানো হয়। এতে অনেক সময় ব্যবহারকারীদের বন্ধুদের পোস্ট নজর এড়িয়ে যায়। নতুন ফ্রেন্ডস ট্যাবে শুধু বন্ধুতালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কনটেন্টই দেখা যাবে। এখানে পেজ বা অন্য কোনো উৎসের কনটেন্ট দেখানো হবে না। সুবিধাটি অনেকটাই ইনস্টাগ্রামের ‘ফলোয়িং’ এবং ‘ক্লোজ ফ্রেন্ডস’ ফিডের মতো। ইনস্টাগ্রামে যেমন নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের পোস্ট আলাদা করে দেখা যায়, তেমনি ফেসবুকেও এই নতুন ট্যাবের মাধ্যমে ক্লোজ ফ্রেন্ডসদের আপডেটগুলো আলাদাভাবে দেখা যাবে। ফেসবুক অ্যাপের হোম ফিডে থাকা নেভিগেশন বারে ফ্রেন্ডস ট্যাবটি যুক্ত হয়েছে। চাইলে এটি অ্যাপের বুকমার্কস বিভাগ থেকেও খুঁজে পাওয়া যাবে। ব্যবহারকারীরা ইচ্ছা করলে এই ট্যাব পিন করেও রাখতে পারবেন। এ জন্য হোম ফিড থেকে প্রোফাইল ছবিতে চাপ দিয়ে ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’ বিভাগের ‘সেটিংস’-এ যেতে হবে। এরপর ‘ট্যাব বার’ অংশে গিয়ে ‘ফ্রেন্ডস’ ট্যাবটি নির্বাচন করে পিন করে রাখা যাবে।

প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাটি চালু করা হয়েছে। ধাপে ধাপে অন্যান্য দেশেও এটি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মেটা। তবে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে কবে এটি চালু হবে, সে বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন

তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের। 

দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত। 

আরো পড়ুন:

রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন

টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়

প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।

তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।

গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে। 

সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। 

ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে। 

২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ