আন্তর্জাতিক আদালতে আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।

আজ শনিবার দুপুরে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ফ্যাশন স্কয়ারে শহীদ মিনার চত্বরে পথসভায় এমন মন্তব্য করেন সামান্তা শারমিন। চরফ্যাশন উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির আয়োজনে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং জুলাই-আগস্টে নিহত শহীদ ও আহতদের স্মরণে এই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। এদের জায়গা বাংলাদেশের মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট, গণবিরোধী ও দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী দল। এ দলের বিচার হবে আন্তর্জাতিক আদালতে। আন্তর্জাতিক আদালতে আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে রাজনৈতিক সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে না।’

গত ১৫ বছর বাংলাদেশে একটি দলই রাজত্ব কায়েম করেছে মন্তব্য করে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে সেই আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছেন ছাত্র-জনতা। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি পুরো ক্রেডিট নিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু পক্ষ নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। যাদেরকে গত ১৫ বছর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা এখন বড় বড় কথা বলছে। তাদেরকে দেখছি এলাকায় চাঁদাবাজি করতে। তাদেরকে দেখছি এলাকায় ত্রাস সঞ্চার করতে। কিন্তু এই বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঘোষণা দিতে চায়, বাংলাদেশে লুটপাট আর সন্ত্রাস মেনে নেওয়া হবে না।’

এ সময় সামান্তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য হাসান মাহামুদ, চরফ্যাশন উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ওহিদ ফয়সালসহ জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ