ডুমুরিয়ায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত শতাধিক বাড়িঘর
Published: 2nd, April 2025 GMT
খুলনার ডুমুরিয়ায় খর্নিয়া ও আটলিয়া ইউনিয়নে পাউবো নির্মিত বিকল্প বেড়িবাঁধ ভেঙে হরিনদীর জোয়ারের পানিতে প্রায় শতাধিক বসতবাড়ি পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার খর্নিয়া ও আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন ও শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে হরিনদী নদীতে জোয়ার শুরু হয় এবং নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়। এ সময় খর্নিয়ার ও আটলিয়া ইউনিয়নের ভদ্রদিয়া, রানাই ও বরাতিয়া এলাকায় পাউবোর বিকল্প বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।
জোয়ারের পানিতে প্রায় শতাধিক বসতবাড়ি, অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও খর্নিয়া বাজার পানিতে নিমজ্জিত হয়। এসময় পানির তোড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মুরগীর বাজার, কাঁচা বাজার, মুদি দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের দাবি নদীর পাড়ে উঁচু বেড়িবাঁধ নির্মাণের।
খুলনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাজকিয়া বলেন, জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে বাঁধের নিচু অংশ তলিয়ে গেছে। নদীতে ভাটা হলেই পানি আবার নেমে যাবে। নদীর পাড় উঁচু করে দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
সৈয়দপুরে লাশ সামনে রেখে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন, মানসিক আঘাতে মৃত্যুর অভিযোগ
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় এক ব্যক্তির লাশ সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবার। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার বাঙালীপুর ইউনিয়নের আমজাদের মোড়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ বসতবাড়িতে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি মোসলেম সরদারের (৬০) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এ কারণে মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তিনি হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন।
অন্যদিকে মামলার বাদী বলেছেন, মোসলেম সরদারের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এটিকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলা বড় মিথ্যাচার। উল্টো বসতঘর পুড়ে সর্বস্ব হারিয়ে তাঁরা নিঃস্ব।
বাঙালীপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মণপুর জোতদারপাড়ার মোসলেম সরদারের পরিবার এ সংবাদ সম্মেলন করেছে। এতে বক্তব্য দেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক শাহিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন, ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আলমগীর হোসেন, নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই তসলিম সরদার, ভাতিজা বাবলু সরদার, নাতি মেহেদী হাসান, গৃহবধূ মৌসুমী ও স্থানীয় জহুরুল শেখ।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মোসলেম সরদারের পরিবার ও বাছান জোতদার পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ১৪ ও ১৫ মে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা বিষয়টি নিয়ে মীমাংসায় বসেন। উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে একটা সমাধানে আসেন তাঁরা। কিন্তু ১৮ মে মৃত বাছান জোতদারের ছেলে আবদুল আজিজ ও তাঁর ভাইয়ের বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আবদুল আজিজ বাদী হয়ে মোসলেম সরদারসহ তাঁর পরিবারের ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৭ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযোগটি একতরফা তদন্ত করে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে। এতে মোসলেম সরদার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থায় তিনি তিন দিন আগে হার্ট অ্যাটাক করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং গতকাল সকালে মারা যান।
এ বিষয়ে আবদুল আজিজ জোতদার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলা সত্য না মিথ্যা, তা তদন্তেই প্রমাণিত হবে। আর কারও স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলাই তো বড় মিথ্যাচার। আমাদের দুই পরিবারের ১০ জনকে পেট্রল ছিটিয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। আল্লাহর রহমতে আমরা বেঁচে গেছি। এতে সর্বস্ব হারিয়ে আমরা নিঃস্ব। এর সঠিক বিচার চাই।’