খুলনার ডুমুরিয়ায় খর্নিয়া ও আটলিয়া ইউনিয়নে পাউবো নির্মিত বিকল্প বেড়িবাঁধ ভেঙে হরিনদীর জোয়ারের পানিতে প্রায় শতাধিক বসতবাড়ি পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

মঙ্গলবার থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও ব্যবসায়ীরা।

উপজেলার খর্নিয়া ও আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন ও শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে হরিনদী নদীতে জোয়ার শুরু হয় এবং নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়। এ সময় খর্নিয়ার ও আটলিয়া ইউনিয়নের ভদ্রদিয়া, রানাই ও বরাতিয়া এলাকায় পাউবোর বিকল্প বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।

জোয়ারের পানিতে প্রায় শতাধিক বসতবাড়ি, অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও খর্নিয়া বাজার পানিতে নিমজ্জিত হয়। এসময় পানির তোড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মুরগীর বাজার, কাঁচা বাজার, মুদি দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের দাবি নদীর পাড়ে উঁচু বেড়িবাঁধ নির্মাণের।

খুলনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাজকিয়া বলেন, জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে বাঁধের নিচু অংশ তলিয়ে গেছে। নদীতে ভাটা হলেই পানি আবার নেমে যাবে। নদীর পাড় উঁচু করে দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে বালতি থেকে ককটেল ছুড়তে ছুড়তে সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ

একদল তরুণ ও যুবক বালতি হাতে দৌড়াচ্ছেন। কিছু একটা তুলছেন আর ছুড়ে মারছেন। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হচ্ছে। ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে।

শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামে এভাবে ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিবদমান দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

এর আগে এ বছরের ৫ এপ্রিল ঠিক একইভাবে বিলাসপুর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

জাজিরা থানা সূত্র জানায়, জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাসির উদ্দিন ব্যাপারী এবং একই এলাকার তাইজুল ইসলাম ছৈয়ালের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ আছে। দুজনই বিলাসপুরের চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। নাসির উদ্দিন বিলাসপুরের চেয়ারম্যান কুদ্দুস ব্যাপারী এবং তাইজুল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল জলিল মাতবরের সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আজ ওই দুই পক্ষের লোকজন গ্রামের দুটি স্থানে অবস্থান নিয়ে একে অপরের ওপর ককটেল ছুড়ে মারেন। তাঁরা দুই পক্ষের সমর্থকদের বসতবাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন অন্তত ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। ওই ঘটনায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

দুই পক্ষের সমর্থকদের বসতবাড়িতেও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুরে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীয়তপুরে বালতি থেকে ককটেল ছুড়তে ছুড়তে সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ