রূপগঞ্জে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ
Published: 2nd, April 2025 GMT
রূপগঞ্জে ৫ বছরের এক শিশুকে জয়নাল নামের এক রাখালের বিরুদ্ধে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত রাখাল জয়নাল।
শিশুটির পরিবারের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, বিকালে শিশুটি বাড়ীর সামনে খেলতেছিল।
এসময় সীম গ্রুপের গরু- ছাগল দেখাশুনা করে রাখাল জয়নাল শিশুটিকে ছাগলের বাচ্চার সাথে খেলার কথা বলে একটি ঘরের ভিতর নিয়ে গিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে পালিয়ে যায় জয়নাল।
খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তার পরিবারের লোকজন প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরো জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ জয়ন ল
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।