দেশে বছরে দেড় লাখের বেশি শিশুর মৃত্যু
Published: 4th, April 2025 GMT
বছরে দেড় লাখের বেশি শিশুর মৃত্যুতে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ গুরুতর চ্যালেঞ্জে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ এবং ডব্লিউএইচও। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ইউনাইটেড নেশন্স ইন্টার-এজেন্সি গ্রুপ ফর চাইল্ড মরটালিটি এস্টিমেশনের ২০২৪ সালের দুটি প্রতিবেদনের একটিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ১ লাখের বেশি শিশু তাদের পঞ্চম জন্মদিন পূর্ণ করার আগে মারা গেছে। তাদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের মৃত্যু হয়েছে আবার বয়স ২৮ দিনের মধ্যে। দ্বিতীয় প্রতিবেদনে ওই বছর ৬৩ হাজারের বেশি মৃত শিশু প্রসবের তথ্য রয়েছে। প্রতিবেদন দুটির হিসাবে প্রতি ৪১ শিশু জন্মের ক্ষেত্রে একটি মৃত সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।
ইউনিসেফ এবং ডব্লিউএইচও বলেছে, ১৯৯০ সাল থেকে মা ও শিশু স্বাস্থ্যে বাংলাদেশের অর্জন প্রশংসনীয়। তবে দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত যত্নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মা ও শিশুর প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু কমাতে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার তাগিদ দিয়েছে তারা। এসডিজির লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশকে প্রতিবছর বাড়তি ২৮ হাজার নবজাতককে বাঁচাতে হবে। এ জন্য প্রসূতি ও নবজাতকের উন্নত যত্ন, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে দক্ষ সেবাদাতার উপস্থিতিতে প্রসব, গর্ভধারণ, প্রসবকালীন ও প্রসবোত্তর সেবার মান উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থা দুটি।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের ওআইসি রিপ্রেজেন্টেটিভস ফারুক আদ্রিয়ান দুমুন বলেন, ‘অপরিণত জন্ম, সেপসিস ও নিউমোনিয়া সংক্রমণের মতো প্রসব জটিলতায় বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লাখের বেশি নবজাতক মারা যায়। অথচ এসব জটিলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগে অগ্রাধিকার, সব পর্যায়ে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী বিশেষ করে ধাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও সঠিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা গেলে লাখ লাখ শিশু ও মাকে বাঁচানো সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে ইউনিসেফ প্রসূতি ও শিশুর মৃত্যুরোধে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং অংশীজনের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বাংলাদেশে ডব্লিউএইচও প্রতিনিধি ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউন স ফ ইউন স ফ প রসব
এছাড়াও পড়ুন:
‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ
নারী বিষয়ক কমিশনের রিপোর্টকে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ করে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) নিজের ও দলের ফেসবুক পেজে এ কথা বলেন তিনি।
এতে তিনি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির
দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান
জামায়াত আমির বলেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”
“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”
“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ