এমবাপ্পে-রুদিগার-সেবালোসকে জরিমানা, রিয়ালের স্বস্তি
Published: 4th, April 2025 GMT
রিয়াল মাদ্রিদ বড় এক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাদের কয়েকজন খেলোয়াড়ের ওপর নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা থাকলেও উয়েফা কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। ফলে তারা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আর্সেনালের বিপক্ষে খেলতে পারবেন।
গত সপ্তাহে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যে, দানি সেবালোস, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপে ও আন্তোনিও রুদিগার অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে দৃষ্টিকটু আচরণ করেন। আর তাদের সে আচরণ তদন্ত করে দেখবে উয়েফা।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আর উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ চলাকালীন ও শেষের দিকে ভিনিসিউস অ্যাটলেটিকোর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ইঙ্গিতমূলক উদযাপন করেন। এমবাপ্পে সমর্থকদের দিকে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করেন। আর রুদিগার গলা কাটার ভঙ্গি করেন। এসব আচরণে তারা শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের কেউ-ই নিষেধাজ্ঞা পাননি। কেবল জরিমানা দিয়ে পার পেয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ট্যাক্স ফাঁকির মামলায় আদালতে রিয়াল কোচ আনচেলোত্তি
৭২ ঘণ্টার বিশ্রাম ছাড়া ম্যাচ খেলতে নামবে না রিয়াল
শাস্তির পরিমাণ ও নিষেধাজ্ঞা পরিস্থিতি:
ভিনিসিউস: কোনো শাস্তি পাননি।
সেবালোস: উয়েফার আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ২০ হাজার ইউরো জরিমানা।
এমবাপ্পে: উয়েফার আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ৩০ হাজার ইউরো জরিমানা এবং আগামী এক বছরের মধ্যে একই আচরণ করলে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।
রুদিগার: ৪০ হাজার ইউরো জরিমানা এবং আগামী এক বছরের মধ্যে একই আচরণ করলে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।
গত বছর ইংল্যান্ডের হয়ে ইউরো ২০২৪ খেলতে গিয়ে একই ধরনের আচরণ করে জুড বেলিংহাম শাস্তি পেয়েছিলেন। তবে রিয়াল মাদ্রিদের জন্য এটি স্বস্তির খবর। কারণ তাদের সেরা খেলোয়াড়রা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পারবেন।
কোচ আনচেলত্তি অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন। তবে গত মঙ্গলবারের ম্যাচে রুদিগারবিহীন রিয়াল মাদ্রিদ তিনটি গোল হজম করেছিল। তাই তার উপস্থিতি দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল এমব প
এছাড়াও পড়ুন:
মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা সম্পৃক্ত করা দরকার: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার বলেছেন, মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা সম্পৃক্ত করা দরকার। কারণ, কারিগরির শিক্ষাকে অবমূল্যায়ন করা হয়, এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে মিস্ত্রি বানানোর কারখানা। এই ধরনের নেতিবাচক ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
সোমবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে ‘কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন: বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সম্ভাবনা ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে’ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, কারিগরি শিক্ষা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত, এখানে কাঠামোগত সংস্কারের দরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ট্রেডভিত্তিক শিক্ষকের বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও নিউ টেকনোলজির অভাব রয়েছে। এসব দূর করার জন্য কারিগরি শিক্ষাকে আরো যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষালাভ করেও অনেকে বেকার রয়েছে, তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না, তার বিকল্প হিসেবে কারিগরি শিক্ষায় জোর দিতে হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা একটা ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে, সে কারণে আচরণে পার্থক্য থাকবে। সবার কাছ থেকে স্বাভাবিক আচরণ আশা করা যাবে না। এক্ষেত্রে তাদেরকে বুঝিয়ে আদর করে পাঠদানের কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা একটা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। দাবি-দাওয়াগুলো সম্মানের সঙ্গে উপস্থাপন করতে হবে। একইসঙ্গে আলাপ-আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরিন আফরোজ ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমদ খান।