চলছে মহড়া, আলোর পথে যাত্রার আহ্বান থাকবে রমনার বটমূলে
Published: 5th, April 2025 GMT
আঁধার কাটিয়ে আলোর পথে যাত্রার আহ্বান নিয়ে এবারও নতুন বছরের শুরুতে রমনার বটমূলে হবে ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী নববর্ষের অনুষ্ঠান। এবার অনুষ্ঠানের মূলভাব নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট বাংলা নববর্ষের সকালে এই অনুষ্ঠানের প্রথম আয়োজন করেছিল ১৯৬৭ সালে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠান সুচারু করে তুলতে দীর্ঘ প্রস্তুতি থাকে ছায়ানটের। অনুষ্ঠানের মূলভাব নির্ধারণ করা হয় প্রথমে। তারপর সেই ভাবনাকে পরিস্ফুটিত করে তুলতে চলে গান, আবৃত্তির জন্য কবিতা ও পাঠের জন্য লেখা নির্বাচন পর্ব। এরপর শুরু হয় মহড়া। এবারেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। প্রতিপাদ্য নির্ধারণ, গান কবিতার বাছাই সব শেষ, চলছে নিয়মিত মহড়া।
আজ শনিবার বিকেলে ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবনে গিয়ে দেখা গেল রমেশ চন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনায়তনে পুরোদমে চলছে সম্মেলক গানের মহড়া। মেঝেতে মাদুর পাতা। সম্মেলক দলের শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীরা বসে একের পর গেয়ে যাচ্ছিল, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’, ‘মোরা সত্যের পরে মন আজি করিব সমর্পণ,’ ‘জয় হোক তব জয়’ গানগুলো। পরিচালনা করছিলেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক শিল্পী লাইসা আহমদ লিসা। সুরে, তালে বা উচ্চারণে ভুল হলে শুধরে দিচ্ছিলেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এবারের অনুষ্ঠানের মহড়া শুরু হয়েছিল তিন মাস আগে। তখন সপ্তাহে দুই দিন মহড়া হতো। ঈদের ছুটির পর থেকে প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহড়া চলছে। মহড়ায় আরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, রেজাউল করিম ও সত্যম কুমার দেবনাথ।
এবার অনুষ্ঠানে শতাধিক শিল্পী অংশ নেবেন। তাঁদের মধ্যে শিশু-কিশোরের সংখ্যাই থাকবে বেশি। বিশিষ্ট শিল্পীদের কণ্ঠে থাকবে একক গান, পাঠ ও আবৃত্তি। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০টির মতো পরিবেশনা থাকবে। তবে সংখ্যা চূড়ান্ত করা হয়নি। যুগ্ম সম্পাদক পার্থ তানভীর নভেদ জানালেন, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, লোকসংগীত ও গণসংগীত থাকবে অনুষ্ঠানে। সম্মেলক গানের মধ্যে ‘ও আলোর পথযাত্রী’, ‘এই বাংলা রবি ঠাকুরের, এই বাংলা নজরুলের’, ‘আজ আইল বছর ঘুরে’ এই গানগুলো থাকবে।
রমনার বটমূলে নববর্ষের সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু হবে সুপ্রিয়া দাসের পরিবেশনায় ভোরের রাগসংগীত দিয়ে। একক শিল্পীদের মধ্যে থাকবেন খায়রুল আনাম শাকিল, চন্দনা মজুমদার, লাইসা আহমদ লিসা, আবুল কালাম আজাদ, সেঁজুতি বড়ুয়া, সুমন মজুমদার প্রমুখ। আবৃত্তি করবেন জয়ন্ত রায়। অনুষ্ঠান বিরতিহীনভাবে চলবে দুই ঘণ্টা।
রমনার বটমূলে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হবে ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে। মঞ্চে চূড়ান্ত মহড়া হবে ১৩ এপ্রিল রোববার বিকেলে। এবার অনুষ্ঠানে পুরুষের পোশাক থাকবে সাদা পায়জামা ও মেরুন পাঞ্জাবি আর নারীদের মেরুন পাড়ের অফ হোয়াইট শাড়ি।
রমনার বটমূলে এবারও ছায়ানটের আয়োজনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হবে। এই অনুষ্ঠানের জন্য ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবনে চলছে মহড়া। ঢাকা, ৫ এপ্রিল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র অন ষ ঠ ন অন ষ ঠ ন র ছ য় নট র
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক সচিবের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি করে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি ওঠে। যথাসময়ে অনুসন্ধান শেষ করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপরিচালক রেজাউল করিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বুধবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র আক্তার হোসেন। এই অনুসন্ধান নিয়ে দুদক থেকে আদেশ জারি করা হয় গত ১৬ এপ্রিল। তবে অনুসন্ধান-সংক্রান্ত খবরটি প্রকাশ পেয়েছে বুধবার।
দুদকের আদেশে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এজন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে কি-না, এ সংক্রান্ত রেকর্ড, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা।