ঘোড়ায় চড়ে, সাগর সাঁতার কেটে আর বনভোজন করে আনোয়ারার পারকি সৈকতে ঈদ আনন্দে মাতেন পর্যটকরা। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশে অপেক্ষমাণ সারি সারি জাহাজ দেখার আনন্দ ছিল অন্যরকম। অনেকে আবার প্রিয়জনদের সঙ্গে সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড করেছেন। সমুদ্র দর্শনের পাশাপাশি বটতলী মেন্না গার্ডেন, শাহ্ মোছছেন আউলিয়ার মাজার, কর্ণফুলী টানেল সংযোগ সড়ক, কোরিয়ান ইপিজেডসহ দর্শনীয় স্পটগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভ্রমণে আসা পর্যটকরা।
গত সপ্তাহজুড়ে ঈদের ছুটিতে পারকি সমুদ্র সৈকত পর্যটকে ভরপুর হয়ে ওঠে। পর্যটকরা সূর্যাস্ত, সাগরের জাহাজগুলোর যাওয়া-আসার দৃশ্য এবং লাল কাঁকড়ার ঝাঁক দেখে অন্যরকম আনন্দে মেতে উঠেছেন। পর্যটকের আনাগোনায় পারকি সৈকত, রাজকুটির, মোহনা পার্ক ও লুসাই পার্ক এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। ইমরান হোসেন বলেন, ‘পারকি সৈকতে ঘুরে বেশ মজা পাচ্ছি। কিছুক্ষণ সাগরের পানিতে গোসল করছি, আবার বালিয়াড়িতে উঠে বালু নিয়ে খেলা করছি। ছুটিটা বেশ উপভোগ করছি সৈকতে এসে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে রফিকুল ইসলাম নামে এক চাকরিজীবী পরিবার  নিয়ে বেড়াতে আসেন পারকি। তিনি বলেন, ‘পারকি সমুদ্রসৈকত সুন্দর বিনোদনের স্থান। এখানে সাগরের ঢেউ দেখার পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য অপেক্ষমাণ সারি সারি জাহাজের দেখা মেলে। সাগরপাড়ে এলে মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। কর্মব্যস্ত জীবনে সুযোগ পেয়ে আজ পারকি সমুদ্রসৈকতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে এসেছি।’ মোহাম্মদ ফোরকান নামের এক চাকরিজীবী বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে সৈকতে ছুটে আসা। এখানে মুক্ত আকাশ, সৈকত ও সারি সারি ঝাউগাছ দেখে অনেক ভালো লাগছে।’
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে পার্কি সৈকতে অনেক পর্যটকের সমাগম হচ্ছে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স গর ক আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিলো ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স

পুঁজিবাজারের বিমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের প্রেরণ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে কোম্পানিটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে।

কোম্পানির ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ পায়েছেন শেয়ারহোল্ডারা।

কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করা হয়।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ