ঈদের ছুটিতে ১৫০ কেন্দ্রে ৩২৮ নরমাল ডেলিভারি
Published: 6th, April 2025 GMT
ঈদে সরকারি হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসক থাকেন ছুটিতে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের গর্ভবতী নারীরা ডেলিভারি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। কিন্তু এবার নয় দিনের টানা ছুটিতে সিলেট বিভাগের ১৫০টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা জানিয়েছেন এবার ঈদের ছুটিতে ৩২৮টি নরমাল ডেলিভারি করা হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ওই সময়ে ১ হাজার ৩১৭ জন নারীকে গর্ভকালীন ও প্রসবোত্তর সেবা দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। শনিবার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ঈদের ছুটি গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রসহ ১৫০টি কেন্দ্রে ৩২৮ জন নারী নরমাল সন্তান প্রসব করেছেন।
তাছাড়াও গর্ভকালীন সেবা ৭৩৯টি, প্রসবোত্তর সেবা ৪১৪ টিসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কিশোর কিশোরী ও সাধারণ রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে।
বিভাগীয় পরিবার কল্পনা অফিসের সহকারী পরিচালক আবুল মনসুর আসজাদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জানিয়েছেন এবার ছুটি লম্বা ছিল। মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ছুটিতে বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঈদের ছুটিতে সেবা প্রদানও অব্যাহত রাখা হয়েছে। এবার নরমাল ডেলিভারি বেশি হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কল য ণ ক ন দ র ঈদ র ছ ট পর ব র নরম ল
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় এবার ২৫০টি মন্দিরে দুর্গাপূজা, বেড়েছে ২২টি মন্ডপ
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার মন্ডপগুলোতে চলছে নানা প্রস্ততি। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী ও আয়োজকেরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় বেড়েছে ২২টি পূজা মন্ডপ। সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। জেলায় ২৫০টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। আবার কোথাও শুরু হয়েছে রঙের কাজ। আপন মনে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। এখন শেষ সময়ের পূজার প্রস্ততি নিচ্ছেন আয়োজকেরা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। প্রতিমা শিল্পীরা ৫টি থেকে ১০টি পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি করেছেন।
প্রতিমা শিল্পী কুমারেশ দাস ও মৃত্যুঞ্জয় কুমার পাল জানান, শেষ সময়ে প্রতিমা শিল্পীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে চাহিদাও বেশি।
এদিকে সকলের সহযোগিতায় অনাড়ম্বরভাবে দুর্গোৎসব পালন করতে চান আয়োজকরা।
হরিবাসর সার্বজনীন পূজা মন্দিরের উপদেষ্টা বিপ্রজিৎ বিশ্বাস বলেন, “আশা করছি প্রতিবছরের মতো এবছরও উৎসব মুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের সহযোগিতা ও আশ্বাসে আমরা আমাদের পূজার কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।”
মিলপাড়া সাবর্জনীন পূজা মন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী বাগচী বলেন, “প্রত্যেক ধর্মকে সন্মান জানানো প্রত্যেকটি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের উৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এলাকার সকলেই আমাদের পাশে থাকেন। আশাকরি এবারও তার ব্যত্যয় হবে না।”
কুষ্টিয়া মহাশ্মশান মন্দিরের পুরোহিত পলাশ চক্রবর্ত্তী বলেন, “আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হবে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এবার পৃথিবীতে দশভূজার আগমন হবে হাতিতে চড়ে আর কৈলাশে ফিরবেন দোলায়।”
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলায় ২৫০ মন্দিরে শারদীয়া দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮১টি, খোকসা উপজেলায় ৫৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৯টি, মিরপুর উপজেলায় ২৮টি, ভেড়ামারা উপজেলায় ১১টি ও দৌলতপুর উপজেলায় ১২টি মন্ডবে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এ বছর গত বছরের তুলনায় ২২টি মন্ডপে পূজা বেড়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস বলেন, “গত বছরের তুলনায় এ বছর ২২টি পূজা বেশি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশাসনের সাথে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের বৈঠক হয়েছে। এছাড়া ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ মন্ডপের তালিকা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।”
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, “প্রতিটা পূজা মন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পূজা মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হবে।”
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন জানান, যার যার ধর্মীয় উৎসব স্বাধীনভাবে ও উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করা তাদের অধিকার। কোন প্রোপাগান্ডা ও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। বর্তমান সরকারের মবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মব সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/কাঞ্চন/এস