ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমানকে (৪২) অস্ত্র মামলায় ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ঝালকাঠি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম গত ১৮ মার্চ ওই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি হাদিসুর রহমান পলাতক ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠির সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহেব হোসেন।

হাদিসুর রহমান পূর্ব চাঁদকাঠি ইউসুফ আলী খান সড়কের সৈয়দ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। ২০২০ সালে ঝালকাঠি শহরের ডাক্তার পট্টি এলাকায় হাদিসুর রহমানের মালিকানাধীন ফ্ল্যাট থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলিসহ তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত নথি সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত দেড়টায় হাদিসুর রহমানের ফ্ল্যাট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ তাঁকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন অস্ত্র আইনে হাদিসুর রহমানকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আদালতে আটজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

পিপি মাহেব হোসেন বলেন, আদালত সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামিকে সাজা দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মল্লিক নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ দ স র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতীয় উড়োজাহাজের ভয়াবহ ১০টি দুর্ঘটনা

কোঝিকোড় দুর্ঘটনা (২০২০)

২০২০ সালের ৭ আগস্ট এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইট কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৃষ্টিভেজা রানওয়েতে ছিটকে পড়ে এবং দুই ভাগ হয়ে যায়। এতে ২০জন নিহত হন, আহত হন বহু যাত্রী। খারাপ আবহাওয়া, কম দৃশ্যমানতা এবং টেবলটপ রানওয়ে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ছিল।

ম্যাঙ্গালুরু দুর্ঘটনা (২০১০)

২০১০ সালের ২২ মে দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইট ৮১২ ম্যাঙ্গালুরুতে অবতরণের সময় রানওয়ে ছাড়িয়ে একটি খাদে পড়ে যায়। বিমানে থাকা ১৬৬ জনের মধ্যে ১৫৮ জন নিহত হন। রানওয়েটি ‘টেবলটপ’ হওয়ায় দুর্ঘটনার মাত্রা ভয়াবহ হয়। টেবলটপ রানওয়ে হলো এমন একটি বিমানবন্দর রানওয়ে, যা একটি পাহাড় বা উঁচু মালভূমির ওপর অবস্থিত এবং চারপাশে গভীর খাদ বা ঢাল থাকে।

পাটনা দুর্ঘটনা (২০০০)

২০০০ সালের ১৭ জুলাই কলকাতা থেকে দিল্লিগামী অ্যালায়েন্স এয়ারের একটি ফ্লাইট পাটনার একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ৫৫ যাত্রী ও ভূমিতে থাকা ৫ জনসহ মোট ৬০ জন নিহত হন। অবতরণের সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত একজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১২ জুন, ভারত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকারি হিসাবের চেয়ে করোনায় মৃত্যু ছিল বেশি
  • কুষ্টিয়ায় করোনা শনাক্তের পিসিআর ল্যাবে চুরি, খোয়া গেছে ৪০ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ
  • কুষ্টিয়ার একমাত্র পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি
  • ভারতীয় উড়োজাহাজের ভয়াবহ ১০টি দুর্ঘটনা