২০২২ সালের পর জাতীয় দলে খেলা হয়নি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। ঘরোয়া ক্রিকেটেও তেমন আলো ছড়ানো পারফরম্যান্স নেই। হুটহাট জ্বলে উঠেন। আবার হারিয়ে যান অতলে। তাই বেশি আলোচনাতেও থাকেন না।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এবারের আসরেও গড়পড়তা পারফরম্যান্স তার। তবে রবিবার (৬ মার্চ) আবাহনী লিমিটেডের জয়ের নায়ক হয়েছেন তিনি। ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিয়ে আবাহনীকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন এই অফস্পিনার।

ঈদের ছুটির পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ফেরার ম্যাচে আবাহনী ১০ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। বিকেএসপির-৩ নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শাইনপুকুর মাত্র ৮৮ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে আবাহনী মাত্র ৬.

৪ ওভারে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে।

আরো পড়ুন:

‘আমার দায়িত্ববোধের অভাব রয়েছে’- বড় ইনিংস খেলা নিয়ে তানজীদ 

সুপার লিগের টিকিট পাওয়ার লড়াই

২৬০ বল হাতে রেখে জয় পায় তারা। যা এবারের লিগে সবচেয়ে বড় জয় (বল হাতে রেখে জয়ের হিসেবে)। এর আগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ দুইটি ম্যাচ জিতেছে যথাক্রমে ২৪৩ ও ২১৭ বল হাতে রেখে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এরচেয়েও বেশি বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড আছে। গত বছর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমিকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল ২৬২ বল হাতে রেখে। এছাড়া দেশের মাটিতে ২৬১ বলে জয়ের রেকর্ড আছে সিলেট বিভাগের। ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৮ উইকেটে তারা ম্যাচ জিতেছিল ২৬১ বল হাতে রেখে।

মোসাদ্দেক ৬ ওভারে ১ মেডেনে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রিপন মন্ডল ও রাকিবুল হাসান। ১ উইকেট নেন মাহফুজুর রাব্বী।

শাইনপুকুরের ব্যাটিং একদমই ভালো হয়নি। মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। এছাড়া দুই অঙ্কের ঘর ছুঁয়েছেন রহমতউল্লাহ আলী। ১০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের ঝড়ে উড়ে যায় শাইনপুকুর। মাত্র ২৩ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৬১ রান করেন পারভেজ। ১৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। যা দেশের ক্রিকেটে যে কোনো সংস্করণে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। এর আগে ২০১৯ সালে শুভাগত হোম ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে শাইনপুকুরের হয়ে মিরপুরে ১৬ বলে ফিফটি করেছিলেন। পারভেজের সঙ্গে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

নয় ম‌্যাচে আট জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী চলে গেছে সুপার লিগে। শাইনপুকুরের নবম ম‌্যাচে অষ্টম হার।

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ইনপ ক র র র কর ড উইক ট ন বল হ ত

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়

অভাগাদের বছরে ‘কুফা’ কাটানোর তালিকায় সর্বশেষ নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসে গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টেস্টের রাজদণ্ড হাতে পেয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। প্রোটিয়াদের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর শেষ হয়েছে।

তবে এর রেশ থাকতেই চলে এসেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর বা চক্র। ২০২৫-২৭ চক্রের শুরুটা হচ্ছে বাংলাদেশকে দিয়েই। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।

ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণে বাংলাদেশ প্রায় ২৫ বছর পার দিলেও রেকর্ড ভালো নয়। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসার পর থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ক্রমশ উন্নতির দিকে।

প্রথম চক্রে (২০১৯-২১) কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় চক্রে (২০২১-২৩) মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে বলার মতো কিছু নেই। প্রথম দুই চক্র শেষ করতে হয়েছে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে।

তবে তৃতীয় চক্রে (২০২৩-২৫) বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ আশাব্যঞ্জক। ১২ টেস্ট খেলে জিতেছে চারটিতে। এর মধ্যে গত বছর পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের সুখস্মৃতিও আছে। পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান ছিল সাত নম্বরে; পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপরে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশ খেলেছে ৩১ টেস্ট। জিতেছে পাঁচটি, ড্র করে দুটি আর হেরেছে ২৪টি।

এবার কী হবে? শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণীই শুনিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল। তিনি বলেছেন, ‘গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। লক্ষ্য থাকবে এই চক্রে কীভাবে আরও একটা-দুইটা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।’ সেটা কতটুকু সম্ভব, সময়ই বলে দেবে।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগের তিন চক্রের মতো এবারও অংশ নিচ্ছে ৯ দল। প্রত্যেক দল খেলবে ছয়টি করে সিরিজ—তিনটি নিজেদের মাঠে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। পয়েন্ট সিস্টেমেও কোনো পরিবর্তন আসেনি (জিতলে ১২, ড্র করলে ৪, টাই করলে ৬ পয়েন্ট)।

তবে এবার ম্যাচের সংখ্যা গত দুবারের চেয়ে একটি বেড়েছে। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭১টি, সিরিজ ২৭টি। প্রত্যেক সিরিজেই সর্বনিম্ন দুই ও সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ হবে।

চতুর্থ চক্রের ফাইনালও লর্ডসে আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ম্যাচ হবে ২০২৭ সালের জুনে। ফাইনালের আগে শেষ সিরিজ হবে সেই বছরের মার্চে; পাকিস্তানে দুটি টেস্ট খেলতে যাবে নিউজিল্যান্ড।

এবার সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। সবচেয়ে কম ১২টি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা, যাদের সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের চক্র। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ এই একটিই। নাজমুল-মুশফিক-তাইজুলদের বাকি পাঁচ সিরিজই ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। সব সিরিজেই দুটি করে ম্যাচ।

২০২৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ মার্চে, ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই বছরের আগস্টে দল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০০৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেটিই হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রথম টেস্ট সিরিজ।

এই চক্রে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সিরিজ খেলবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে; খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের মাসে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। বাংলাদেশের শেষ সিরিজ দেশের মাটিতেই; ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসবে ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর এটিই হবে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ।

অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো খবর হলো ২০২৫-২৭ চক্রে বাংলাদেশ যে ছয় দলের বিপক্ষে খেলবে, এর চারটির বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে তারা হারেনি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছে আর পাকিস্তানকে করেছে ধবলধোলাই (দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়)। সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কা আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন অধিনায়ক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তামিমের
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
  • ব্রাজিলে আলোকাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • ব্রাজিলে আলো কাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির 
  • কোচ কাবরেরার পদত্যাগ দাবি, অনিশ্চয়তায় ভবিষ্যৎ