ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন নেতানিয়াহু
Published: 7th, April 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। রবিবার রাতে (৬ এপ্রিল ) তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান।
সোমবার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও গাজা যুদ্ধ নিয়ে জরুরি আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন সফর করছেন নেতানিয়াহু। আগামী দুই দিন তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে অংশ নেবেন। এই বৈঠকগুলোর মূল আলোচ্য বিষয় হলো গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ এবং সেখানে এখনো আটক থাকা ৫৯ জন জিম্মির মুক্তি।
আরো পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত, নিহত আরো অর্ধশতাধিক
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ
পাশাপাশি ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি, যার আওতায় ইসরায়েলি পণ্যের ওপর ১৭ শতাংশ মার্কিন শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
চ্যানেল ১২-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সফর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টারও কম সময় পর, রবিবার বুদাপেস্ট থেকে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা হন নেতানিয়াহু। এই সফর মঙ্গলবার পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাড়তেও পারে।
নেতানিয়াহু তার স্ত্রী সারা নেতানিয়াহুকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াশিংটনে পৌঁছার পরপরই বিমানবন্দর থেকে একটি গাড়িবহরের মাধ্যমে ব্লেয়ার হাউসে যান। সেখানে তিনি মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, বৈঠকটি ‘উষ্ণ এবং ফলপ্রসূ’ ছিল।
ট্রাম্প চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর নেতানিয়াহু এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫