গাজীপুরে বাটা শোরুমসহ দোকান ভাঙচুরে গ্রেপ্তার ৪
Published: 8th, April 2025 GMT
গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলের সময় তৃপ্তি হোটেল, রাধুনী হোটেল এবং বাটা কোম্পানির ডিলারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নাশকতা, ভাঙচুরে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে গাছা থানায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সহকারী উপকমিশনার হাফিজুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সিয়াম খান (অনিক), শিমুল আহাম্মেদ শাওন, শাহীন ও জয়নাল আবেদীন।
সহকারী উপকমিশনার হাফিজুল ইসলাম বলেন, “গতকাল (সোমবার) দুপুরে বোর্ডবাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ইসরায়েল বিরোধী মিছিল বের হয়। ওই মিছিলের সুযোগ নিয়ে একদল দুর্বৃত্ত তৃপ্তি হোটেল, রাধুনী হোটেল এবং বাটা কোম্পানির ডিলারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নাশকতা, ভাঙচুর, লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
পরবর্তীতে এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গাছা থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনী সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওই ঘটনায় জড়িত সিয়াম, শিমুল আহমেদ, শাহীন ও জয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে গাছা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত উস্কানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও মদদদাতাদের শনাক্ত ও তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ঢাকা/রেজাউল/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।