গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলের সময় তৃপ্তি হোটেল, রাধুনী হোটেল এবং বাটা কোম্পানির ডিলারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নাশকতা, ভাঙচুরে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

সোমবার (৭ এপ্রিল) সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে গাছা থানায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সহকারী উপকমিশনার হাফিজুল ইসলাম। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,  সিয়াম খান (অনিক),  শিমুল আহাম্মেদ শাওন,  শাহীন ও  জয়নাল আবেদীন।

সহকারী উপকমিশনার হাফিজুল ইসলাম বলেন, “গতকাল (সোমবার) দুপুরে বোর্ডবাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ইসরায়েল বিরোধী মিছিল বের হয়। ওই  মিছিলের সুযোগ নিয়ে একদল দুর্বৃত্ত তৃপ্তি হোটেল, রাধুনী হোটেল এবং বাটা কোম্পানির ডিলারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নাশকতা, ভাঙচুর,  লুটপাট চালায়।  খবর পেয়ে  থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।” 

পরবর্তীতে এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গাছা থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনী সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওই ঘটনায় জড়িত সিয়াম, শিমুল আহমেদ, শাহীন ও জয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে গাছা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

এছাড়া এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত উস্কানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও মদদদাতাদের শনাক্ত ও তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/রেজাউল/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক এডিসি ইশতিয়াকের নির্যাতন নিয়ে অভিযোগ জমা দিলেন রাশেদ খান

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ইশতিয়াক আহমেদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।

২০১৮ সালের ১ জুলাই ইশতিয়াক আহমেদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিটে তাঁর কক্ষে রাশেদ খানের ওপর নির্যাতন চালান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগে রাশেদ খান বলেন, ২০১৮ সালে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ইশতিয়াক আহমেদের কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি বুট জুতা পরা অবস্থায় তাঁর গোপন অঙ্গে লাথি মারেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে গালিগালাজ ও অনবরত চড়থাপ্পড়, লাথি-ঘুষি মারতে থাকেন।

আজ বুধবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে এ অভিযোগ জমা দেন রাশেদ খান।

অভিযোগে রাশেদ খান বলেন, ২০১৮ সালে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ইশতিয়াক আহমেদের কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি বুট জুতা পরা অবস্থায় তাঁর গোপন অঙ্গে লাথি মারেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে গালিগালাজ ও অনবরত চড়থাপ্পড়, লাথি-ঘুষি মারতে থাকেন।

ওই নির্যাতনের রেশ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, ‘সেই নির্যাতনে আমার শরীরের মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়। অনেক জায়গা থেঁতলে যায়। এখন মাঝেমধ্যে প্রেশার কমে শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ব্যথায় ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না, ঘুমের মধ্যে আঁতকে উঠি।’

অত্যাচার করা হলেও পুলিশ তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি অভিযোগ করে রাশেদ খান বলেন, ‘আমাকে মাত্র কয়েকটি ব্যথার ট্যাবলেট দিয়েছিল পুলিশ।’

ইশতিয়াক আহমেদকে গ্রেপ্তারে দেরি করা হয়েছে উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, বিচার যত ধীরে শুরু হবে, অপরাধীরা তত দেশ ছেড়ে পালাবে। প্রশাসনের গাফিলতির সুযোগে অনেক অপরাধী দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। অন্য অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।

ইশতিয়াক আহমেদের নির্যাতনের শিকার অন্য ভুক্তভোগীদেরও মামলা করার আহ্বান জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, ইশতিয়াক আহমেদ জামিন পেয়ে যেতে পারেন। তাঁকে ছাড়া হলে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে অন্যায় করা হবে।’

এর আগে গত রোববার পুলিশ সিটিটিসির সাবেক এ অতিরিক্ত উপকমিশনারকে রাঙামাটি থেকে গ্রেপ্তার করে। জুলাই গণ–অভ্যুত্থান চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। গতকাল মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক এডিসি ইশতিয়াকের নির্যাতন নিয়ে অভিযোগ জমা দিলেন রাশেদ খান
  • দাবি প্রত্যাখান: রাবির ‘এ’ ইউনিটে ৭৫০ ওএমআর বাতিল