অগ্নিদগ্ধ পবন কল্যাণের ৮ বছরের পুত্র
Published: 8th, April 2025 GMT
অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণের ছোট ছেলে মার্ক শঙ্কর। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে সিঙ্গাপুরে মার্কের স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন ৮ বছরের মার্ক।
লাইভ মিন্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মার্ক শঙ্করের হাত ও পা পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ড থেকে ধোঁয়া সৃষ্টি হওয়ায় শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তাকে উদ্ধার করে সিঙ্গাপুরের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে; সেখানে চিকিৎসা চলছে।
অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় পবন কল্যাণ। জনসেনা পার্টির প্রধান তিনি। দলটির মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ফাঁস হওয়া ভিডিও নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী
আটচল্লিশে থেমে গেল নায়কের জীবন
এ পোস্টে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক কাজের অংশ হিসেবে পবন কল্যাণ এখন অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরি সীতারামরাজু জেলায় অবস্থান করছেন। নেতাকর্মীদের পরামর্শে সফর স্থগিত করে আজই সিঙ্গাপুরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পবন কল্যাণ।
১৯৯৭ সালে নন্দিনীকে প্রথম বিয়ে করেন পবন কল্যাণ। ২০০৭ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। ২০০৯ সালে অভিনেত্রী রেণু দেশাইকে বিয়ে করেন পবন। ২০১২ সালে এ সংসারের ইতি টানেন তারা। পবন-রেণু দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
২০১১ সালে ‘টিন মার’ সিনেমার শুটিং সেটে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান রাশিয়ান মডেল-অভিনেত্রী আন্না লেজনেভার ও পবন কল্যাণ। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই যুগল। এ সংসার আলো করে জন্ম নেয় পোলেনা অঞ্জনা পবনোভা নামে এক কন্যা এবং মার্ক শঙ্কর পবনোভিচ নামে একটি পুত্রসন্তান।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক