জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন অনলাইনে চলছে। ৬ এপ্রিল শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে ১৫ এপ্রিল বিকেল চারটা পর্যন্ত। খাতা চ্যালেঞ্জ করতে প্রতি পত্রের জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা ফি হিসেবে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনতুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ, সম্পূর্ণ টিউশন ফি–মাসিক উপবৃত্তি–আবাসন–স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা ৫ ঘণ্টা আগে

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও পে–স্লিপ ডাউনলোড করে কাছের সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখার মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা জমা দিতে হবে অথবা সোনালী ব্যাংকে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা—নগদ, বিকাশ, রকেট অথবা বিভিন্ন ধরনের কার্ড, যেমন AMERICAN EXPRESS, VISA, DBBL, NEXUS, MASTER CARD অথবা সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারী ব্যক্তিরা নিজ হিসাব নম্বর থেকে অনলাইনে এ টাকা ট্রান্সফার করে আবেদন করতে পারবেন। ফি জমার সঙ্গেই আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে। নির্ধারিত সময়ের আগে অথবা পরে আবেদন ফরম পূরণ করা, পে–স্লিপ ডাউনলোড করা এবং টাকা জমা দেওয়া যাবে না। আবেদনের সময় পত্রকোড অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পূরণ করতে হবে। ভুল কোডে আবেদন করলে পরবর্তী সময় কোনোভাবেই সংশোধন করা যাবে না।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ