জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জে আবেদন শুরু, ফি ১২০০
Published: 8th, April 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন অনলাইনে চলছে। ৬ এপ্রিল শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে ১৫ এপ্রিল বিকেল চারটা পর্যন্ত। খাতা চ্যালেঞ্জ করতে প্রতি পত্রের জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা ফি হিসেবে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনতুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ, সম্পূর্ণ টিউশন ফি–মাসিক উপবৃত্তি–আবাসন–স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা ৫ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও পে–স্লিপ ডাউনলোড করে কাছের সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখার মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা জমা দিতে হবে অথবা সোনালী ব্যাংকে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা—নগদ, বিকাশ, রকেট অথবা বিভিন্ন ধরনের কার্ড, যেমন AMERICAN EXPRESS, VISA, DBBL, NEXUS, MASTER CARD অথবা সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারী ব্যক্তিরা নিজ হিসাব নম্বর থেকে অনলাইনে এ টাকা ট্রান্সফার করে আবেদন করতে পারবেন। ফি জমার সঙ্গেই আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে। নির্ধারিত সময়ের আগে অথবা পরে আবেদন ফরম পূরণ করা, পে–স্লিপ ডাউনলোড করা এবং টাকা জমা দেওয়া যাবে না। আবেদনের সময় পত্রকোড অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পূরণ করতে হবে। ভুল কোডে আবেদন করলে পরবর্তী সময় কোনোভাবেই সংশোধন করা যাবে না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাগরে ইলিশ মিলছে কম, চড়া দাম আড়তে
নিষেধাজ্ঞা শেষে দীর্ঘ বিরতির পর আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য আড়ত কেবি বাজার। সাগরে প্রায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে বাগেরহাটের ভৈরবতীরের এ মাছ বাজার।
সাগরে মাছ আহরণ শেষে শুক্রবার ভোরে কেবি বাজার ঘাটে দুটি ট্রলার ভেড়ে। তবে মাছের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ব্যবসায়ীরা জানান, ৫৮ দিনের অবরোধ শেষে সাগর থেকে এই প্রথম দুটি ট্রলার এসেছে। তবে এসব ট্রলারে মাছের পরিমান খুবই কম। ফলে দাম অনেক বেশি।
জেলে রুহুল জানান, তাদের ট্রলার সাগরে যাওয়ার পরে মাত্র কয়েকবার জাল ফেলতে পেরেছেন। এতে অল্প কিছু ইলিশসহ নানা ধরনের মাছ পেয়েছেন। পরে ট্রলারে সমস্যা হওয়ায় চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
শুক্রবার বাজারে ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আধা কেজি থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার থেকে ২৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া রূপচাঁদা আকার ভেদে প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা, কঙ্কন, তুলারডাটি, ঢেলা চ্যালা, ভেটকি, লইট্টা, ছুরি, জাবা, বিড়াল জাবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ একশ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাগর থেকে বেশি করে ট্রলারের আগমন ও মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে দাম কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মোরেলগঞ্জ থেকে মাছ কিনতে আসা তৈয়ব মুন্সি বলেন, সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলাকালে তিনি বাজারে আসেননি। অনেক দিন পরে আজই বাজারে এসেছেন, তবে দাম অনেক বেশি। তারপরও কিছু মাছ কিনেছেন। বেশি দামে মাছ কিনে এলাকায় বিক্রি করে লোকসানের শঙ্কা জানান তিনি।
কেবি বাজার আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর শুক্রবার প্রথমবারে সাগর থেকে ট্রলার এসেছে। জেলেরা তেমন মাছ পায়নি। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক পাইকার আসছে। যার কারণে দাম কিছুটা বেশি। সাগরে বেশি পরিমাণ মাছ ধরা পড়লে দাম কিছুটা কমবে বলে জানান তিনি।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত সাগরে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ছিল।